ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
মেট্রোরেলে নতুন টাকা অচল, ভোগান্তি

সকাল ৯টা, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন। নতুন সিরিজের ৫০ টাকার নোট দিয়ে একক যাত্রার টিকিট কাটতে যান মনিপুরিপাড়ার বাসিন্দা মনোয়ারুল ইসলাম। তবে ভেন্ডিং মেশিন বারবার তার নোটটি প্রত্যাখ্যান করে। স্ক্রিনে বার্তা ভেসে ওঠে—‘লেনদেন প্রক্রিয়াটিতে ত্রুটি আছে। সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’ বাধ্য হয়ে তাকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়।
মনোয়ারুল জানালেন, টিকিট না পাওয়ার কারণ কী তা স্পষ্টভাবে জানাননি কেউ। পরে কাউন্টার থেকে তাকে জানানো হয় নতুন সিরিজের টাকা এখনো ভেন্ডিং মেশিনে সংযুক্ত হয়নি। একই ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন মতিঝিল স্টেশনের যাত্রী নাসির উদ্দিনও। তিনি নতুন ২০০ টাকার নোট দিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গন্তব্যের টিকিট কাটতে গিয়ে ব্যর্থ হন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, "বাজারে নতুন টাকা এসেছে এক মাসের বেশি অথচ এখনো সফটওয়্যার আপডেট হয়নি!"
যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, নতুন নোট বাজারে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো সংগ্রহ করে ভেন্ডিং মেশিনে সফটওয়্যার হালনাগাদ করা উচিত ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন সিরিজের টাকা এখনও সবার হাতে পৌঁছায়নি। সব ব্যাংকেও সমভাবে পৌঁছায়নি নতুন নোট। ফলে তারা এখনো কাজটি শুরু করতে পারেননি। তবে অচিরেই সব মূল্যমানের নতুন নোট সংগ্রহ করে মেশিনে সংযুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া। তার ভাষায়, "আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজন ২০০ এবং ২০ টাকার নোট। কারণ মেট্রোরেল ভেন্ডিং মেশিনে ১০০০ বা ৫০০ টাকার নোট নেওয়া হয় না।"
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়, পরে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে এমআরটি লাইন-৬-এ ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে। প্রতিদিন বহু যাত্রী এই আধুনিক গণপরিবহন ব্যবহার করেন। তবে নতুন টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে না পারায় যাত্রীরা যে ভোগান্তিতে পড়ছেন তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ চাচ্ছেন তারা।
এ নিয়ে কারওয়ান বাজার স্টেশনে কর্মরত আতাহার আলী বলেন, "২০ জুনের পর থেকে সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। পুরনো নোটে সমস্যা হয় না আর যাদের এমআরটি কার্ড আছে তাদেরও সমস্যা নেই।"
বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১ জুন নতুন ডিজাইনের ১,০০০, ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০ ও ৫ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। ইতিমধ্যে এসব নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছালেও মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য তা এখনও অচল অবস্থায় রয়েছে।
এই সমস্যা দূর করতে যাত্রীরা যেমন দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছেন, তেমনি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও বলছে—চেষ্টা চলছে তবে আরও সময় লাগবে।
তথ্য : জাগোনিউজ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- ২৪ কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনীহা, বিনিয়োগ ১০% শতাংশের নিচে