ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
ই'সরায়েলকে 'মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার' বলল পারমাণবিক শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ইসরায়েলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ক্যানসার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মতে, এই অঞ্চলে অস্থিরতা ও সংঘাতের মূল কারণ ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দেয়। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯ জুন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধ এনেছে, এমন আগ্রাসী শক্তি কখনোই বিশ্বশান্তি ধ্বংসের দায় এড়াতে পারবে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, "১৩ জুন ভোরে ইরানের ওপর বেপরোয়াভাবে বৃহৎ পরিসরে সামরিক আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এটা একটা অবৈধ কাজ, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। এবং এটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে একটি নতুন সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি লঙ্ঘন করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের বেপরোয়া সামরিক আক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে, যা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার অযৌক্তিক লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে একটি অমার্জনীয় অপরাধ।"
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সরকারি ভাষণে কিম বলেন, "বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষদর্শী। এই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে আমেরিকা-পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত ও পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য একটি ক্যানসারের মতো সত্তা। এটি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা ধ্বংসের ক্ষেত্রে প্রধান অপরাধী। মধ্যপ্রাচ্যের চারটি যুদ্ধ এবং অতীতে কয়েক ডজন সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল ক্রমাগতভাবে তার অঞ্চল সম্প্রসারণ করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশে ধাপে ধাপে সামরিক আক্রমণ বাড়িয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে এবং একটি গুরুতর মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।"
কিমের ভাষ্যমতে, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তি যুদ্ধের আগুন উসকে দিচ্ছে, ইরানের বৈধ সার্বভৌম অধিকার এবং আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ইসরায়েলের ভূখণ্ড সম্প্রসারণ নিয়ে উন্মাদ হয়ে ওঠার জন্য নিন্দা করা তো দূরের কথা, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা।"
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে ইহুদিবাদী শক্তি ও তাদের পেছনে থাকা গোপন পৃষ্ঠপোষকদের হাত রয়েছে। যারা এই আগ্রাসনকে সমর্থন ও উসকে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্টের জন্য তাদের সম্পূর্ণভাবে দায়ী করতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক