ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
ই’সরায়েলের যে ঘটতি উন্মোচিত হল ইরানের হা’মলায়

সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে যখন সাইরেন বাজে, তখন ইসরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে বিস্তৃত একটি আশ্রয়কেন্দ্র নেটওয়ার্ক। তবে এই ব্যবস্থা পুরো দেশজুড়ে সমানভাবে কার্যকর নয়। বিশেষ করে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অবস্থিত কিছু ফিলিস্তিনি শহরে আশ্রয়কেন্দ্রের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এ নিয়ে উত্তর ইসরায়েল থেকে বিবিসি অনলাইনের সংবাদদাতা লোন ওয়েলস জানিয়েছেন, “হামলার সতর্কতা দিয়ে যখন সাইরেন বেজে উঠল, তখন আমরা ছিলাম তামরা শহরে—উত্তর ইসরায়েলের হাইফার কাছাকাছি। এই শহরে কোনো সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র নেই।”
পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও জানান, “স্থানীয় বাসিন্দারা একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে ছুটে যান, জানালাবিশিষ্ট ওই কেন্দ্রটির বহিরাংশ উন্মুক্ত এবং পাতলা ইট দিয়ে তৈরি। এটি ছিল এমন একটি বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে—গত শনিবারের এক হামলায় যে বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই হামলায় একই পরিবারের চারজন আরব-ইসরায়েলি নারী নিহত হয়েছেন।”
যদি আবার এমন কোনো এলাকায় হামলা চালানো হয়, তাহলে এই ধরনের দুর্বল ইটের কাঠামো অনায়াসেই ভেঙে পড়ে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
সাংবাদিক লোন ওয়েলস বলেন, “আমরা আশপাশে তীব্র শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম, আশ্রয়কেন্দ্রের দেয়ালগুলো কাঁপছিল। ভেতরে থাকা পরিবারগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল—কেউ প্রার্থনা করছিল, কেউ কাঁদছিল, আবার কেউ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিল প্রতিটি বিস্ফোরণের শব্দে।”
বিবিসি সংবাদদাতা জানান, ওই অঞ্চলের মানুষের মনে বহুস্তরীয় ভয় কাজ করছে। একদিকে নিজেদের সম্প্রদায়ের প্রাণহানি, অন্যদিকে সংঘাতের ছায়া সরাসরি বাড়ির চৌহদ্দিতে এসে পড়ায় এবং নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে তাদের নিরাপত্তাহীনতা আরও গভীর হয়েছে।
২০২৪ সালে প্রকাশিত ‘ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব অধ্যুষিত শহরগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা অবকাঠামো গড়তে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল সরকার। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এসব আরব বসতিতে বসবাসরত ৪৬ শতাংশ মানুষ এমন ভবনে থাকেন যেখানে কোনো নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র নেই। আর সামগ্রিকভাবে ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ মানুষ একই ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান