ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চীনা প্রেসিডেন্টের মেয়েকে ঘিরে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ মে ৩০ ২১:০২:০১
চীনা প্রেসিডেন্টের মেয়েকে ঘিরে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মাঝেই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একমাত্র মেয়ে শি মিংজে।

গুঞ্জন উঠেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থান করছেন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ কট্টর ডানপন্থী অ্যাকটিভিস্ট লরা লুমার সরাসরি শি মিংজেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তার ভাষায়, “কমিউনিস্টরা এই দেশে থাকার যোগ্য নয়।”

শি মিংজে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলে জানা যায়। সে সময় তিনি ছদ্মনামে ছিলেন এবং পুরো বিষয়টি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়েছিল। অনলাইনে ঘুরে বেড়ানো তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে তিনি আবারও হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তরে ফিরেছেন, যদিও এ বিষয়ে সরকারি কোনো নিশ্চয়তা নেই।

সম্প্রতি মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বা রোবোটিক্সের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে অধ্যয়নরত এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা হবে।

এই প্রেক্ষাপটে লুমারের মন্তব্য ঘৃতাহুতির মতো কাজ করেছে। তিনি দাবি করেন, “আমার সূত্র বলছে, শি মিংজেকে মার্কিন মাটিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নিরাপত্তারক্ষীরা পাহারা দিচ্ছে।”

লুমার আরও বলেন, “আমি শিগগিরই তার মুখোমুখি হব এবং ক্যামেরার সামনে তার বাবার নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন করব।” তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে প্রবল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

চীন ইতোমধ্যে এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত এবং চীনা শিক্ষার্থীদের অধিকার খর্ব করে।”

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২৭% থেকে কমিয়ে ১৫%-এ নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের জাতীয়তা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে।

এই পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—যদি সাধারণ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল হয়, তাহলে চীনা প্রেসিডেন্টের মেয়ের ক্ষেত্রে কী হবে?

সব কিছু নির্ভর করছে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এবং শি মিংজের প্রকৃত অবস্থান ও তার ভিসার ধরন অনুসারে। তবে বিতর্কটি নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার মাত্রা যোগ করেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত