ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

রিজার্ভ থাকা সত্বেও

ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি 

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২২:৪২:২৮
ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি 

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৮টি রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানির রিজার্ভ থাকা সত্বেও ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭টি কোম্পানি ধারাবাহিক লোকসানে রয়েছে এবং তিনটি কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে। অন্য ৪টি কোম্পানি কোনো প্রান্তিকে মুনাফায় এবং কোন প্রান্তিকে লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে থাকায় শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

কোম্পানিগুলো হলো- ডেল্টা স্পিনার্স, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, জেনারেশন নেক্সট, হামিদ ফেব্রিক্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এমএল ডাইং, নিউলাইন ক্লোথিংস, নূরানী ডাইং, প্যাসিফিক ডেনিমস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, তাল্লু স্পিনিং এবং ভিএফএস থ্রেড অ্যান্ড ডাইং। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

হামিদ ফেব্রিক্স

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে হামিদ ফেব্রিক্সের। ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির অনুমোদিত ৯১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসানে রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ২০ টাকা ১০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৪ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

রিজেন্ট টেক্সটাইল

কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিজার্ভ রয়েছে এই কোম্পানির। ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২৮ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা।

গত ২০২০ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছির ২ টাকা ৯০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৫ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

ভিএফএস থ্রেড অ্যান্ড ডাইং

উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রিজার্ভ এই কোম্পানির। ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তিন প্রান্তিকেই আয় দেখিয়েছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ পয়সা আয় হয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সায় । গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা ।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৮ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে-

ফ্যামিলিটেক্স বিডি

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ফ্যামিলিটেক্সের পরিশোধিত মূলধন ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

সর্বশেষ প্রকাশিত ২০২০ সালে দুইটি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭ পয়সা। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সায়। গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৩ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা ফ্যামিলিটেক্সের উৎপাদন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

জেনারেশন নেক্স ফ্যাশনস

২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৯৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

গত ২০২৩ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে ১১ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সায়। গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২ টাকা ৫০ পয়সা। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১২ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা

ডেল্টা স্পিনার্স

১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখালেও তৃতীয় প্রান্তিকে আয় হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয হয়েছে ২ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাকসন্স স্পিনিং

২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ২২ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছির ৫ টাকা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির আইপিও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এমএল ডাইং

২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘বি’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে আয় দেখিয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছির ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৮ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

নিউলাইন ক্লোথিংস

২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১০৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

গত ২০২১ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে আয় দেখিয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৫ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৩ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১ সালে ১২.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪৯ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৪ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

নূরানী ডাইং

২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

গত ২০২০ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সবগুলো প্রান্তিকেই কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে। এরপর থেকে কোম্পানিটি কোনো প্রান্তিক প্রকাশ করেনি।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৭ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৪ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

প্যাসিফিক ডেনিমস

২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা ও ১৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

গত ২০২৩ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩টি প্রান্তিকের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় দেখালেও তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৭ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

ইভিন্স টেক্সটাইল

২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত ১৮৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখালেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালে ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছির ৮ টাকা ৩০ পয়সা।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৬ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।

তাল্লু স্পিনিং

১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির ক্যাটাগরির ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবংকোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

গত ২০২৪ সালে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তিন প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি।

সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সায়। গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ দর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা ।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তথ্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত