ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
রিজার্ভের ঊর্ধ্বগতি, বেড়ে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলার

রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ধারাবাহিক বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিনের চাপ ও অনিশ্চয়তার পর রিজার্ভ এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা বয়ে আনছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ রয়েছে ২৫.৬ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ছিল ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলার। তখন ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ মাত্র ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গিয়েছিল। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি গত এক দশকের মধ্যে অন্যতম নিম্ন পর্যায় ছিল, যা আমদানি খাতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিল।
রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে কারণ
সংশ্লিষ্টদের মতে, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে বৈদেশিক আয়ের দুই প্রধান খাত
১) প্রবাসী আয়: মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি কার্যক্রম কমে যাওয়াও আনুষ্ঠানিক পথে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
২) পণ্য রপ্তানি: তৈরি পোশাক (RMG) খাতের পাশাপাশি কৃষিপণ্য, চামড়া ও হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে।
আমদানি সক্ষমতা বেড়েছেবর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরা হলে, এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হওয়া জরুরি—সে হিসেবে বাংলাদেশ এখন নিরাপদ পর্যায়ে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে টাকার ওপর চাপ কমবে, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ব্যবসায়িক আস্থা বৃদ্ধি পাবে। তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, শুধুমাত্র রিজার্ভ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়; টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রপ্তানি খাতকে বৈচিত্র্যময় করা, প্রবাসী অর্থের প্রবাহ স্থিতিশীল রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। ডলারের সরবরাহ বাড়ায় আমদানি খরচ মেটানো সহজ হচ্ছে এবং বাজারের অস্থিরতা কমেছে।
অর্থনৈতিক চাকা সচল থাকায় এবং বৈদেশিক আয় ইতিবাচক থাকার কারণে রিজার্ভ শিগগিরই ৩২ বিলিয়ন ডলারের স্তর ছুঁতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির