ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
জুলাই সনদে লুকানো ইতিহাস: সব কিছু জানতে পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :ঐতিহাসিক মুহূর্তে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে গঠন করা হয়েছিল ছয়টি সংস্কার কমিশন—সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এরপর এই কমিশনগুলো প্রণীত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা আলোচনার মাধ্যমে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছায়।
এই ৮৪টি প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদের খসড়া তৈরি করা হয় এবং খসড়ার ওপর আরও আলোচনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। সব দলের মতামত পর্যালোচনা করে অবশেষে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করা হয় এবং মঙ্গলবার তা সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিতরণ করা হয়। শুক্রবার ঐতিহাসিক এই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেন।
৪০ পৃষ্ঠার এই নথিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। এতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালের একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক সংশোধনীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সনদে বলা হয়েছে, ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে শুরু হওয়া ১৯৭৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরলেও তা স্বল্পস্থায়ী ছিল। এছাড়া, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচারী প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সমালোচনা করা হয়, যেগুলো নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে, বিচার বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রাজনীতিকরণ করেছে এবং দুর্নীতিকে সহজতর করেছে।
সনদে গত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিফলনও প্রতীয়মান, যার মধ্যে ২০১৮ সালের সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন, কোটা বিরোধী আন্দোলন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্ত।
এই সনদে একটি সাত দফা প্রতিশ্রুতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নীতি বজায় রাখা এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বিদ্রোহে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডুয়া/নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা