ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

জবি শিক্ষার্থী হত্যা

যে কারণে মাহিরকে পুলিশে হস্তান্তর করলেন মা

২০২৫ অক্টোবর ২০ ২১:৩৪:০৩

যে কারণে মাহিরকে পুলিশে হস্তান্তর করলেন মা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন তার মা রেখা আক্তার। সোমবার সকালে রেখা আক্তার নিজেই বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন বলে জানা গেছে।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে মাহিরের মাকে ‘সাহসী মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপের পেছনের কারণ জানা গেছে মাহিরের খালু ইমরান শেখের বক্তব্য থেকে।

তিনি বলেন, মাহিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগে গতকাল রাত ৩টার দিকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাহিরের মা আজ সকালে নিজের ছেলেকে বংশাল থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।

পুলিশ সরাসরি স্বীকার না করলেও মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন। লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার বলেন, আমরা হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের প্রক্রিয়ায় আছি। শিগগিরই তা জানানো হবে।

গত রোববার রাতে পুরান ঢাকার আর্মানিটোলা এলাকার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, নিহত জোবায়েদ ওই ভবনের একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন। তার লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে বংশাল থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে মাহিরের আত্মীয়দের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তী সময়ে মাহিরের মা তাঁকে থানায় সোপর্দের সিদ্ধান্ত নেন এবং সকালে তা কার্যকর হয়।

এদিকে খুনের ১৮ ঘণ্টা পরও মামলা দায়ের হয়নি। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রীসহ ছয়জনের নামে মামলা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বংশাল থানার ওসি পরামর্শ দেন এতজনের নামে মামলা না করার।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত