ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

লাগামছাড়া মাছ ও মাংসের দাম, ভোগান্তিতে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা

আসাদুজ্জামান
আসাদুজ্জামান

রিপোর্টার

২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৬:২৫:৩০

লাগামছাড়া মাছ ও মাংসের দাম, ভোগান্তিতে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মাছ ও মাংসের দাম অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ করতে পারছেন না, যার ফলে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫০–৮০০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬৫–১৭০ টাকা, আর কক ও সোনালী মুরগি ৩০০–৩৫০ টাকায়। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, খুচরা বাজারে প্রতি হালি ৪৫–৫০ টাকা।

মাছের দামও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রুই-কাতল ৩৫০–৫৫০ টাকা, শিং মাছ ৩০০–৪৫০ টাকা, সিলভার কার্প ও গ্রাস কার্প ২৮০–৩৩০ টাকা, পাবদা ৩৫০–৪৫০ টাকা, চাষের কই, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ২৫০–৩৫০ টাকা, বাইন ও বাইল মাছ ৭০০–১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির কারণে ডিম ও দুধের মতো বিকল্প প্রোটিন উৎসও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বনশ্রী এলাকার নাজমুল হোসেন বলেন, আগের দামে বাজারে যা পাওয়া যেত, এখন তার এক চতুর্থাংশও পাওয়া যাচ্ছে না। আয়ের পরিবর্তন নেই, অথচ বাজারের দাম আকাশছোঁয়া।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, নিয়মিত প্রোটিন না খেলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য জটিলতা তৈরি হয়। জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা জানান, দাম বৃদ্ধির কারণে সপ্তাহে এক-দু’দিনও অনেক পরিবার মাংস খেতে পারছে না। দীর্ঘমেয়াদে জাতির পুষ্টি অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি ও মজুতদারির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হলেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সময় লাগবে।

সাধারণ ক্রেতারা জানান, বাজারে গেলে এখন ভয়ে যাই। আগে সপ্তাহে দুইবার মাংস কিনতেন, এখন মাসে একবারও ক্রয় করতে কষ্ট হয়।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত