ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

'মেক্সিকোতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না'

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:০৯:৫৫
'মেক্সিকোতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না'

মেক্সিকোতে কোনো মার্কিন সেনা সদস্যকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম। লাতিন আমেরিকার মাদক কার্টেল দমনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সাম্প্রতিক নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই কথা বলেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শেইনবম বলেন, "মেক্সিকোতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে আসতে দেওয়া হবে না। সহযোগিতায় আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু বিদেশি সেনা আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।"

এই ঘোষণার প্রেক্ষাপট হলো, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন, যেখানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদেশে সেনাবাহিনী প্রেরণের একটি আদেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন। এই আদেশটি মার্কিন বাহিনীকে সাগরে এবং বিদেশি ভূখণ্ডে ড্রাগ কার্টেলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান পরিচালনার আনুষ্ঠানিক ভিত্তি দেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যদিও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা আদেশের বিস্তারিত প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকোভিত্তিক ছয়টিসহ মোট আটটি ড্রাগ কার্টেলকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষে কার্টেলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো সহজ হবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "তাদেরকে কেবল মাদক কারবারি হিসেবে নয়, বরং সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।"

প্রেসিডেন্ট শেইনবম জানান, কার্টেল দমনে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এমন বিষয়ে ওয়াশিংটন মেক্সিকোকে আগেই সতর্ক করেছিল। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আলোচনায় সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং মেক্সিকো বরাবরই এর বিরোধিতা করে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "এই কথা যতবার আলোচনায় এসেছে, আমরা সবসময় আপত্তি জানিয়ে এসেছি।"

শেইনবম এর আগেও বলেছিলেন, কার্টেলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক চোরাচালান রোধে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করেছে। এর ফলে সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে কমেছে এবং ফেন্টানিল জব্দের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সহযোগিতার আবহের মধ্যেই মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত