৬০ কোটি টাকার ইসলামিক কমপ্লেক্স পাগলা মসজিদে    

পাগলা মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেটে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেটে নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। রোববার সকালে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “পাগলা মসজিদ দেশের একটি ঐতিহাসিক ও জননন্দিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ মসজিদে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ মানত, দান ও সদকা করে থাকেন। মসজিদের তহবিলে বর্তমানে ৯০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ জমা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, তুরস্কের স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিতব্য ১০ তলা বিশিষ্ট এ ইসলামিক কমপ্লেক্সে থাকবে মাদ্রাসা, এতিমখানা, লাইব্রেরি, মিলনায়তন ও অতিথিশালা।

তিনি জানান, দানের অংশ হিসেবে প্রতিদিন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ নানা সামগ্রী মসজিদে দেওয়া হয়, যা পরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এ নিলাম ঘিরে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাওয়া সম্ভব হয় না। এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে একটি প্রাত্যহিক নিলাম সাব-কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাগলা মসজিদের তহবিল থেকে অর্জিত মুনাফা সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও রোগাক্রান্ত মানুষের সহায়তায় ব্যয় করার কথাও জানান উপদেষ্টা। বিশেষ করে গরীব শিক্ষার্থী, অনাথ-এতিম ও বিধবাদের কল্যাণে এই অর্থ ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াক্ফ প্রশাসক নূর আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, জামিয়া এমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে উপদেষ্টা নির্মাণাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, পাগলা মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেট ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াক্ফ সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এস্টেটটির আওতায় সাড়ে পাঁচ একরের বেশি জমি রয়েছে এবং গত অর্থবছরে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি ওয়াক্ফ কন্ট্রিবিউশন জমা দিয়েছে।

পরে তিনি কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে ‘ইসলামি অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।