ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১২:৪৯:১০
অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ছুরিকাহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। এ ঘটনায় পাঁচ দিন পর রোববার (৩ আগস্ট) মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।

অভিযোগকারী ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সাজিদ-উল-ইসলাম জানান, তিনি এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলা সফিউদ্দিন গ্যালারির একটি প্রদর্শনী শেষে লালমাটিয়ার ডি-ব্লকের মাঠে যান বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে জবির গণিত বিভাগের অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এবং চারুকলার শিক্ষার্থী রাফিদুল হক রাহিমের সঙ্গে তাদের দেখা হয়।

বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ ১০-১২ জন কিশোর এসে তাদের এক বন্ধুর দিকে ব্যাগ ছুড়ে মারে এবং এলাকা ছেড়ে যেতে বলে। প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের ‘এলাকার মানুষ’ পরিচয় দিয়ে হুমকি দেয়। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই কিশোররা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

সাজিদ-উল-ইসলাম আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকজন এসে আমাদের একজনের বসার জায়গায় রাখা ব্যাগটা ফেলে দেয়। তখন আমি জিজ্ঞেস করি ব্যাগটা কেন ফেলে দিলেন?

তিনি বলেন, ওরা বলতে থাকে উঠে যেতে। আমরা তখন বলি আমরা উঠে যেতেই পারি কিন্তু আপনারাতো এভাবে বলতে পারেন না। এরপরই তারা আমাদের অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে।

মঙ্গলবারের ঘটনায় রোববার মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

সাজিদের করা মামলায় ১২ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় নাম থাকা ১২ জন হলেন- এস কে আবির, মিমোন খান, সিয়াম, মিনহাজ, শুকুর, সাজ্জাদ, একরামুল, সুজন, বায়েজিদ, সুমন, হৃদয় ও ইয়াছিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবিরের নির্দেশে বাকিরা সাজিদকে মারধর করে। মিমোন খানসহ ইয়াছিন, সুমন, সুজন তাকে মারধর করে। অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এগিয়ে গেলে আবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার পিঠের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

অন্য কিশোররা বাকি দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। কী কারণে তারা হামলা করেছিল তদন্তের পর নিশ্চিত হতে পারবো। ঘটনাটি তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেফতারে এরই মধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত