ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা দিল সরকার
.jpg)
দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মীদের আন্দোলনের বিষয়ে অবশেষে কড়া বার্তা দিয়েছে সরকার। অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের ৮০টি পবিসের কয়েক হাজার কর্মী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকার জানায়, কিছু কর্মী ‘পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কার’ দাবিকে সামনে এনে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছেন—যা গ্রহণযোগ্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনটি ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি অনিবন্ধিত সংগঠনের ব্যানারে চলছে যা বৈধ কোনো সংগঠন নয় এবং এটি দেশের নিবেদিত পবিস কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে না।
সরকার জানায়, পবিস-কর্মীদের মধ্যে প্রকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করে সবাইকে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সরকারের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে জানানো হয়:
পবিস ও আরইবি’র গঠন ও কার্যপ্রণালি সংস্কারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যা ঈদের আগেই প্রতিবেদন দেবে।
পদমর্যাদা ও সুবিধার ভারসাম্য আনতে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি কাজ করছে; আগামী সপ্তাহেই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হবে।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যেসব কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা নাশকতায় যুক্ত নন তাদের বিষয়ে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে; প্রমাণ মিললে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য বিদ্যমান শ্রম আইনের আলোকে বিশেষ সুবিধা বজায় আছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক স্বীকৃত।
চাকরি নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া চলমান; আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৬,০২৫ জন কর্মী নিয়মিত হয়েছেন।
বদলি ব্যবস্থা একটি নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রম হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং মানবিক বিবেচনায় ইতোমধ্যে ৩,০৭৯ জন স্বামী-স্ত্রী কর্মচারীকে একই কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়ায় থাকা মামলাগুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতের রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে সরকার আশা প্রকাশ করেছে আন্দোলনকারী কর্মীরা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও সচেতনতা থেকে অহেতুক সভা-সমাবেশ না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনে থাকা ৮০টি সমিতির মাধ্যমে সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সেখানকার কর্মীদের বড় একটি অংশ চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা