ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
নতুন লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান!
.jpg)
গত ৮ মে রাত ৮টার পর ভারতের জম্মু অঞ্চলের আকাশে হঠাৎই লাল আলোর ঝলকানি দেখা যায়। পরে জানা যায় পাকিস্তান থেকে পাঠানো ড্রোনগুলো ভূপাতিত করতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে হামলা চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো এশিয়ার এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সরাসরি সংঘর্ষে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। মে মাসের চার দিনের এই সংঘাতে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন যুদ্ধ কৌশল মঞ্চে আসে।
সংঘাত শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে গড়ালেও দুই দেশই এখন ড্রোন প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেছে। রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে ভারত ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকসহ ১৫ জন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে দুই দেশই নতুন করে ড্রোন প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে ড্রোন প্রযুক্তিতে স্থানীয় শিল্পে ৪৭ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে যা পূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। ভারতের ড্রোন ফেডারেশনের স্মিত শাহ জানান, ৫৫০টিরও বেশি কোম্পানি এই শিল্পে অংশ নিতে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এছাড়া চলতি মাসেই ভারতের সরকার সামরিক ক্রয়ের জন্য ৪৬০০ কোটি ডলার জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়েছে। এই অর্থের একটি বড় অংশ নজরদারি এবং আক্রমণাত্মক ড্রোন ক্রয়ে ব্যয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আইডিয়াফোর্জ টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশাল সাক্সেনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছিল। তবে এবার সরকার দ্রুতগতিতে ড্রোন নির্মাণ এবং পরীক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানও যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ড্রোন ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। পাকিস্তান চীন এবং তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়ে ড্রোন প্রযুক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তুরস্কের বেকার কোম্পানির তৈরি ইহা-৩ ড্রোন পাকিস্তানের ড্রোন উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
পাকিস্তানের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের স্থানীয় কারখানাগুলো মাত্র দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে একটি ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কিংবা ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এ প্রসঙ্গে লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ওয়াল্টার লার্ডভিগ তৃতীয় বলেন, ভারত ও পাকিস্তান সম্ভবত বড় সংঘাত উস্কে না দিয়ে সীমিত পর্যায়ে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করছে।
এবারের সংঘাত হয়তো থেমে গেছে কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে ‘ড্রোন যুদ্ধ’ যে আরও উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে তা এখন প্রায় নিশ্চিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- চাঙ্গা বাজারের নেপথ্যে চার স্টার শেয়ার