ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা প্রতিস্থাপন করেছে ইরান

ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালীভাবে প্রতিস্থাপন করেছে। দেশটির একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
গত জুন মাসে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা "টুয়েলভ-ডে ওয়ার" নামেও পরিচিত এই সংঘাত শুরু হয়েছিল ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের শহর ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই যুদ্ধে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয় এবং একাধিকবার রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে হয়।
ইরানের সেনাবাহিনীর অপারেশন প্রধান, রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহমুদ মুসাভির মতে, "জায়নবাদী শত্রু ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং আমাদের কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।" তিনি আরও যোগ করেন, "এই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো এখন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।" মুসাভি নিশ্চিত করেছেন যে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে এবং পূর্ব-প্রস্তুত ব্যবস্থা মোতায়েন করে দেশের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে নিজস্বভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩ এবং খোরদাদ-১৫ এর মতো ব্যবস্থা রয়েছে, যা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, ২০১৬ সালে রাশিয়া থেকে সংগৃহীত এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ইরানের অন্তর্ভুক্ত।
এই সংঘাতে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ইরানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ১,০০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, অন্যদিকে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক অবকাঠামো এবং পারমাণবিক স্থাপনা। ২২ জুন, সংঘাতের নবম দিনে, ইসরায়েলের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র "অপারেশন মিডনাইট হ্যামার" নামে একটি অভিযানে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় ফোরদো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষতির পরিমাণ এখনো সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে এই স্থাপনাগুলো "সম্পূর্ণ এবং পুরোপুরি ধ্বংস" করা হয়েছে। তবে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ একটি সামরিক মূল্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে তিনটি স্থাপনার মধ্যে কেবল একটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে যে সাইটগুলো "গুরুতর ক্ষতির" শিকার হয়েছে।
উল্লেখ্য ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইরানকে তার পারমাণবিক সক্ষমতা পুনর্গঠন করতে দেওয়া হবে না, যা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করেছে। চলতি জুলাই মাসের শুরুতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন যে ইরান যাতে পুনরায় ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- ২০ লাখ শেয়ার কিনলেন তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার