ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

১৫০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় চালু

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ২০ ২০:১৯:০১
১৫০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় চালু

আজারবাইজানের আগদাম শহরে দেড় শতাব্দী পুরোনো ঐতিহাসিক জিয়াসলি মসজিদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও নামাজি ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো মসজিদটি।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) পুনর্নির্মিত এই ধর্মীয় স্থাপনাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

উদ্বোধনের সময় প্রেসিডেন্টের সামনে মসজিদের সংস্কার প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তার সহকারী আনার আলি আকবরভ। তিনি জানান, মসজিদটির মূল স্থাপত্যশৈলী বজায় রেখেই এটি সংস্কার করা হয়েছে। ২০২২ সালে হেইদার আলিয়েভ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া এই কাজের সময় পুরনো নথি, আর্কাইভ ছবি ও ভিডিওর সহায়তায় প্রাচীন রূপ পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া হয়।

মসজিদের দক্ষিণ পাশের দুটি মিনার পুনর্নির্মাণ করা হয়, ভেতরের সংরক্ষিত সর্পিল সিঁড়ি অক্ষত রেখেই। ঢালু পাথরের স্তম্ভ, ক্ষতিগ্রস্ত গম্বুজ ও মিহরাব পুনর্গঠন করা হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায়। বাহ্যিক প্রাচীর পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয় বিশেষ রাসায়নিক উপাদান, পাশাপাশি আগের নকশা অনুসারে পুরনো পাথর পুনঃস্থাপন করা হয় ফলে মসজিদের মূল ঐতিহাসিক সৌন্দর্য ফিরে আসে।

এই মসজিদকে ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর চারপাশে সহায়ক অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০০১ সালে জিয়াসলি মসজিদকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্মারক ঘোষণা করেছিল আজারবাইজান সরকার। আজ এটি আগদাম অঞ্চলে ইসলামী পরিচয়ের এক গর্বিত প্রতীক।

১৯ শতকে নির্মিত এই মসজিদটি ডিজাইন করেন প্রখ্যাত স্থপতি কারবালাই সাফিখান কারাবাগি। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৭০ সালের মধ্যে। তবে ১৯৯৩ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আগদাম শহর আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে মসজিদটি ব্যবহারবর্জিত হয়ে পড়ে। জানা যায়, সেই সময় এটি অবমাননার শিকার হয় এমনকি সেখানে পশুপালনের মতো কার্যক্রমও চলেছে।

২০২০ সালের দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের পর আজারবাইজান আগদাম পুনরুদ্ধার করলে মসজিদটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালে শুরু হওয়া কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের মাঝামাঝি। পুরো সংস্কার প্রকল্পে ইতিহাস ও স্থাপত্যের নিখুঁত সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় সরকার।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত