ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
২০২৬ সালে প্রথম চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান নৌবাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তান নৌবাহিনী তাদের প্রথম চীনা নকশার সাবমেরিন ২০২৬ সালে উদ্বোধনের আশা করছে। চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ। তিনি জানান, ২০২৮ সালের মধ্যে আটটি হাংগর-শ্রেণির সাবমেরিন যুক্ত করার চুক্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
অ্যাডমিরাল আশরাফ বলেন, চলতি বছরের শুরুতে চীনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাবমেরিনের সফল উদ্বোধন দুই দেশের নৌ-সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি। তার মতে, এই প্রকল্প শুধু সাবমেরিন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে না, বরং করাচি শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে প্রযুক্তি স্থানান্তর ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকিস্তানের আত্মনির্ভরতা জোরদার করছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টাইপ ০৫৪এ/পি ফ্রিগেটও চীন-পাকিস্তান নৌ-সহযোগিতার আরেকটি বড় মাইলফলক। এগুলোকে তিনি আধুনিকতম সারফেস কমব্যাট্যান্টের অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেন। তার ভাষায়, উত্তর আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসব যুদ্ধজাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও জরুরি।
ইতোমধ্যে পাকিস্তান চীনের হুবেই প্রদেশের ইয়াংজি নদীতে তিনটি সাবমেরিন উদ্বোধন করেছে। এ প্রসঙ্গে অ্যাডমিরাল আশরাফ জানান, চীনা প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম ও সরঞ্জামগুলো নির্ভরযোগ্য, উন্নত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কর্মক্ষমতা ও কারিগরি সহায়তার অভিজ্ঞতাও ইতিবাচক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুদ্ধের ধরন বদলে যাওয়ায় এখন মানববিহীন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং উন্নত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা ক্রমেই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এসব কারণে নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ সক্ষমতায় প্রযুক্তির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ মেয়াদে চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬০ শতাংশেরও বেশি ক্রয় করেছে পাকিস্তান, যা দেশটিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা গ্রাহকে পরিণত করেছে।
ভবিষ্যতে চীন-পাকিস্তান নৌ-সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাডমিরাল আশরাফ। তিনি বলেন, দুই দেশের নৌবাহিনীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে। আগামী দশকে এই সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হবে এবং একসঙ্গে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ সামুদ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নেবে।
ডুয়া/নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান, খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে