ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রথম দফা বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক দলগুলো

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ২৫ ২১:২:২৬
প্রথম দফা বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক দলগুলো

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেছেন।

আজ রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকে নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা, মানবিক করিডরসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের অর্জন মেনে নিতে পারছে না। পারলে একদিনে তা ধ্বংস করে দেবে। এটা যাতে কোনোভাবেই না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ পাবেন না বলে ধারণা করেছিলেন। তাই, তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনের জন্য একটু শক্তিশালী প্রশাসন দরকার, সেটি প্রস্তুত হলেই নির্বাচন আয়োজন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন। আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছি।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেই তাকে (ড. ইউনূস) যেতে হবে। নানা ধরনের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে, এরমধ্য দিয়ে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই জায়গাটা দূর করতে হবে বলেও তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “জনগন দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। বিচারের আন্তর্জাতিক মান যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

সাকী নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এটা যে জরুরি তা সরকারও মনে করে। তবে, নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, যে প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত, সেগুলো যখন আত্মবিশ্বাসী হবেন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত, তখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।”

বৈঠক শেষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “গেলো কয়দিনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার মন খারাপ ছিল। এজন্য তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মাঝনদীতে মাঝি বদলাতে হয় না। এ জন্য ড. ইউনূসের ওপর সবাই আস্থা রাখাতে চায় বলে তাকে জানানো হয়েছে।”

এই নেতা আরও বলেন, “অনেকক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার দলনিরপেক্ষ অবস্থা বজায় রাখতে পারছে না। এটি পরিহার করে নিরপেক্ষ আচরণ দেখতে চাই। এক সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার দেখতে চাই না।”

মানবিক করিডরসহ জাতীয় কোন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নেওয়া উচিত নয় বলেও বৈঠকে জানান তিনি।

এছাড়া সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “দেশে ও দেশের বাইরে থেকে গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মতের পার্থক্য থাকবে এটা মেনে নিতে হবে, কিন্তু কোনটা কার্যকর হবে সেটা ঠিক করবে জনগণ।”

এই নেতা আরও বলেন, “অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, তা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়ক্ষেপণ করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে, তখন কিছু করার থাকবে না।”

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য নেতারা।

এর আগে, শনিবার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এনবিআরের কর্মবিরতি স্থগিত

এনবিআরের কর্মবিরতি স্থগিত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক জারি করা অধ্যাদেশ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধনের আশ্বাস দেওয়ায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের চলমান কর্মসূচি... বিস্তারিত