ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্য বয়কট ভারতীয়দের

২০২৫ মে ২০ ২০:৩৬:০৭
পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্য বয়কট ভারতীয়দের

ডুয়া ডেস্ক: এবার কাশ্মীর হামলা ইস্যুতে শুরু হওয়া সংঘাতে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তুরস্কের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় নাগরিকরা। মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মেও চলছে এই বয়কট কর্মসূচি।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ মে) পাকিস্তানের জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে ভারতের ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় অনলাইন ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতারা তুর্কি পণ্য বয়কট করছে। এই বয়কটের তালিকায় রয়েছে চকলেট, কফি, জ্যাম, প্রসাধনী এবং পোশাক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানানোর পর এই উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।’

ভারতে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ছোট মুদি দোকানে পণ্য সরবরাহকারী অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন (এআইসিপিডিএফ) সোমবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা তুরস্কে উৎপাদিত সকল পণ্যের উপর ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ বয়কট’ শুরু করেছে। এই বয়কটের আওতায় চকলেট, ওয়েফার, জ্যাম, বিস্কুট ও ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যসহ বিভিন্ন আইটেম পড়বে।

ভারতের শীর্ষ ফ্যাশন ওয়েবসাইটগুলো, যেমন ওয়ালমার্টের সহযোগিতায় ফ্লিপকার্ট এবং মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মগুলো, তুর্কি পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। ফ্লিপকার্টের ফ্যাশন সাইট মিনত্রা বিশেষ করে তুর্কি ব্র্যান্ড ট্রেন্ডিওল, এলসি ওয়াইকিকি ও মাভির পণ্য তালিকা তুলে নিয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় স্বার্থে’ নেওয়া হয়েছে। রিলায়েন্সের ফ্যাশন ওয়েবসাইট এজিও-তেও ট্রেন্ডিওল, কোটন ও এলসি ওয়াইকিকির মতো ব্র্যান্ডগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে অথবা অনেক পণ্য ‘স্টক নেই’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপের পেছনে ‘জাতীয় অনুভূতি’কে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তুরস্ক ও ভারতের বার্ষিক বাণিজ্য লেনদেন প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার হলেও, পণ্যের এই বয়কট জনমনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। গত বছর ভারত তুরস্ক থেকে প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুকভিন্দর সিং সুখু ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে আপেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছেন। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ভারত তুরস্ক থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারের আপেল আমদানি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফ্লিপকার্ট সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা তুরস্কের জন্য ফ্লাইট, হোটেল এবং হলিডে প্যাকেজ বুকিং স্থগিত রেখেছে।’

‘জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সংহতির’ অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, তুরস্কভিত্তিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফার্ম চেলেবি-এর নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করে ভারত সরকার। এছাড়া অনেকেই তুরস্ক ভ্রমণ বাতিল করছেন।

এয়ার ইন্ডিয়া তুর্কি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ইন্ডিগোর অংশীদারিত্ব বন্ধ করতে লবিং চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে