৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

ডুয়া ডেস্ক: দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “যেহেতু ৭ জুন কোরবানি ঈদ। সেজন্য আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি।”

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— ২৯ মে বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মসজিদে মসজিদে গণদোয়ার আয়োজন।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুঃস্থদের মাঝে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর ইউনিটগুলোও আলোচনা সভা, খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে শহীদ জিয়ার স্মরণে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন। একই বছরের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব’-এর পর তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এএসএম সায়েমের নেতৃত্বাধীন সরকারে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির শপথ নেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। বিএনপি দিনটিকে ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে।