ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

“আমার মৃ-ত্যু-র জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা”

২০২৫ মে ১৮ ১৯:৩০:৪৭
“আমার মৃ-ত্যু-র জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা”

ডুয়া ডেস্ক: “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা”—ব্যক্তিগত ডায়েরিতে এমন কথা লিখে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। তার এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং বাইরে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ধ্রুবজিৎ ছিলেন কলেজটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী।

ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকার দম্পতির সন্তান ধ্রুবজিৎ একটি সুইসাইড নোটে লেখেন,

“সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (.......) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়ে পড়বো। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃঞ্চ।”

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “রোববার তার একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে নকলের অভিযোগে সে ধরা পড়ে। দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার খাতা নিয়ে হলে থেকে বের করে দেন। এরপর সে রুমে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।”

তিনি আরও জানান, ধ্রুবজিৎ কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিল। পরীক্ষায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ধ্রুবজিতের সহপাঠীরা জানান, নকলের ঘটনায় ধরা পড়ার পর সে কান্নাকাটি করে এবং স্যারদের কাছে ক্ষমা চায়। এরপরই হলে ফিরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার সময় রুমমেটরা পরীক্ষার হলে ছিলেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর



রে