ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘ভারতের স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত জানে না বাংলাদেশ’

২০২৫ মে ১৮ ১৬:১৪:৫৩
‘ভারতের স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত জানে না বাংলাদেশ’

ডুয়া ডেস্ক: হঠাৎ করেই স্থলবন্দরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে স্থলবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা ভারত দিয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জানে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে জানলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আজ রবিবার (১৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থ আছে। দুই দেশের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা এরসঙ্গে জড়িত। ক্ষতি দুই দিকেরই হবে। এতে ভারতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

এ সময় ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে বাংলাদেশের তেমন ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। নিজেদের পণ্য দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।”

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অফিসিয়ালি এখনও জানি না। আনুষ্ঠানিকভাবে জানলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এখন বিশ্লেষণ চলছে কী করা হবে। তবে যে সিদ্ধান্তের কথা ভারতীয় ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে দুই দেশ মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শনিবার রাতে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারত স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর (ডিজিএফটি) থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক, পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য (যেমন: বেকারি পণ্য, স্ন্যাকস, চিপস ও কনফেকশনারি), প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, রং, কেমিক্যাল, তুলা, সুতা এবং কাঠের আসবাবপত্র এখন থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। তবে মাছ, ভোজ্যতেল, এলপিজি এবং ভাঙা পাথর এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক কেবল ভারতের নাভা শেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের বিভিন্ন স্থল শুল্ক স্টেশন এবং সমন্বিত চেকপোস্ট (আইসিপি)। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের এলসিএস চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত বন্দরও এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে