ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমী যুবকের তুঘলকী সিদ্ধান্ত
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ওভারে ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়েন এক সমর্থক, যিনি গ্যালারিতে বসে বাংলাদেশ দলের জার্সি পরে মিষ্টি হাসিতে একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেছেন। তাতে লেখা: ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না।’
এরপর যা ঘটল, তা আর কেবল ক্রিকেট ম্যাচের ফল নয়—এ এক জাতীয় নাট্যকাহিনি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের পরাজয় শুধু ব্যাট-বলের ব্যর্থতা নয়, বরং এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিফলন।
দল যেন বুঝে ফেলেছে—বিশ্বকাপ জয়ের আশায় বিয়ের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে রাখা সেই সমর্থকের জীবন এখন গভীর অনিশ্চয়তায় বন্দি। এই আত্মবিনাশী আশা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই হয়তো এক অলিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো—এই ম্যাচটা হারতেই হবে।
এই পরাজয় যেন এক প্রকার বাস্তবতার ধাক্কা। ‘বিশ্বকাপ জিতলে বিয়ে’—এই শর্ত যেন তার জীবনটা আর আটকে না রাখে। ব্যর্থতার মাধ্যমে এক মুক্তি ঘটানো দরকার ছিল।
এমন এক নাটকীয় হার রচিত হলো, যা কেবল স্কোরবোর্ডে ঠাঁই পাবে না—স্থান পাবে জাতীয় আত্মপরিচয়ের এক গভীর কোণে। দল যেন বলতে চাইল, ভালোবাসার দায়িত্ব শুধু গ্যালারিতে চিৎকার করাই নয়—সম্ভাবনার ভারটাও বইতে হয়।
অনেকে বলবেন, বাজে ফিল্ডিং হয়েছে। কেউ বলবেন, শিশিরের কারণে বল হাত ফসকে গেছে। কেউ হয়তো বোলিং পরিকল্পনাকে দায় দেবেন। কিন্তু এসব ব্যাখ্যা আসলে বাইরের মুখোশ—ভেতরের কাহিনি অনেক বেশি জটিল, অনেক বেশি রূপক।
ধরুন, মুহাম্মদ ওয়াসিম যখন ৬৪ রানে ক্যাচ দিলেন, লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা হৃদয় কি সত্যিই বলটা ধরতে পারলেন না? নাকি সেই প্ল্যাকার্ড ভেসে উঠেছিল চোখের সামনে—“বিশ্বকাপ জিতলে বিয়ে করব”?
আর ১৯তম ওভারে শরীফুল ইসলামের সেই রহস্যজনক ওভার থ্রো—যেখানে এক রানের জায়গায় পাঁচ রান দিলেন! স্পষ্টতই ব্যাকআপ ফিল্ডার ছিল না। তাহলে তিনি থ্রো করলেন কেন? হয়তো উত্তর লুকিয়ে আছে সেই প্ল্যাকার্ডেই।
শেষ ওভারে তানজিম বল হাতে নিয়ে যখন বললেন, "আমি ছয়টা ইয়র্কার দিতে পারব", তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল—আজ তার হাতেই আসবে ফুল টস। শিশির ছিল বটে, কিন্তু সেই ফসকানো যেন ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়তির এক রূপক চিত্র।
আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: শেষ ওভারের পঞ্চম বল, জয়ের জন্য দরকার মাত্র ২ রান, ব্যাটসম্যান ঠেলে দিলেন পয়েন্টে। হৃদয়ের হাতে বল উঠল, কিন্তু তিনি থ্রো করলেন না। কেন?
ব্যাখ্যা চাইলে একটি কথাই বলা যায়: বাংলাদেশ আজ ম্যাচ হারায়নি, হারিয়ে দিয়েছে এক মোহময় ভুল বিশ্বাস—জীবনকে ফিরিয়ে এনেছে বাস্তবতায়।
বাংলাদেশ দলের এই মহাত্যাগী হারের পেছনে যে বড় একটা হৃদয় আছে, তা অস্বীকার করা কঠিন। এক সমর্থকের ভবিষ্যৎ, একটি জীবনের সম্ভাবনা সেটার জন্য যদি একটি জয় বিসর্জন দিতে হয়, বাংলাদেশ দল সে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু