ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমী যুবকের তুঘলকী সিদ্ধান্ত
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ওভারে ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়েন এক সমর্থক, যিনি গ্যালারিতে বসে বাংলাদেশ দলের জার্সি পরে মিষ্টি হাসিতে একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেছেন। তাতে লেখা: ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না।’
এরপর যা ঘটল, তা আর কেবল ক্রিকেট ম্যাচের ফল নয়—এ এক জাতীয় নাট্যকাহিনি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের পরাজয় শুধু ব্যাট-বলের ব্যর্থতা নয়, বরং এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিফলন।
দল যেন বুঝে ফেলেছে—বিশ্বকাপ জয়ের আশায় বিয়ের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে রাখা সেই সমর্থকের জীবন এখন গভীর অনিশ্চয়তায় বন্দি। এই আত্মবিনাশী আশা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই হয়তো এক অলিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো—এই ম্যাচটা হারতেই হবে।
এই পরাজয় যেন এক প্রকার বাস্তবতার ধাক্কা। ‘বিশ্বকাপ জিতলে বিয়ে’—এই শর্ত যেন তার জীবনটা আর আটকে না রাখে। ব্যর্থতার মাধ্যমে এক মুক্তি ঘটানো দরকার ছিল।
এমন এক নাটকীয় হার রচিত হলো, যা কেবল স্কোরবোর্ডে ঠাঁই পাবে না—স্থান পাবে জাতীয় আত্মপরিচয়ের এক গভীর কোণে। দল যেন বলতে চাইল, ভালোবাসার দায়িত্ব শুধু গ্যালারিতে চিৎকার করাই নয়—সম্ভাবনার ভারটাও বইতে হয়।
অনেকে বলবেন, বাজে ফিল্ডিং হয়েছে। কেউ বলবেন, শিশিরের কারণে বল হাত ফসকে গেছে। কেউ হয়তো বোলিং পরিকল্পনাকে দায় দেবেন। কিন্তু এসব ব্যাখ্যা আসলে বাইরের মুখোশ—ভেতরের কাহিনি অনেক বেশি জটিল, অনেক বেশি রূপক।
ধরুন, মুহাম্মদ ওয়াসিম যখন ৬৪ রানে ক্যাচ দিলেন, লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা হৃদয় কি সত্যিই বলটা ধরতে পারলেন না? নাকি সেই প্ল্যাকার্ড ভেসে উঠেছিল চোখের সামনে—“বিশ্বকাপ জিতলে বিয়ে করব”?
আর ১৯তম ওভারে শরীফুল ইসলামের সেই রহস্যজনক ওভার থ্রো—যেখানে এক রানের জায়গায় পাঁচ রান দিলেন! স্পষ্টতই ব্যাকআপ ফিল্ডার ছিল না। তাহলে তিনি থ্রো করলেন কেন? হয়তো উত্তর লুকিয়ে আছে সেই প্ল্যাকার্ডেই।
শেষ ওভারে তানজিম বল হাতে নিয়ে যখন বললেন, "আমি ছয়টা ইয়র্কার দিতে পারব", তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল—আজ তার হাতেই আসবে ফুল টস। শিশির ছিল বটে, কিন্তু সেই ফসকানো যেন ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়তির এক রূপক চিত্র।
আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: শেষ ওভারের পঞ্চম বল, জয়ের জন্য দরকার মাত্র ২ রান, ব্যাটসম্যান ঠেলে দিলেন পয়েন্টে। হৃদয়ের হাতে বল উঠল, কিন্তু তিনি থ্রো করলেন না। কেন?
ব্যাখ্যা চাইলে একটি কথাই বলা যায়: বাংলাদেশ আজ ম্যাচ হারায়নি, হারিয়ে দিয়েছে এক মোহময় ভুল বিশ্বাস—জীবনকে ফিরিয়ে এনেছে বাস্তবতায়।
বাংলাদেশ দলের এই মহাত্যাগী হারের পেছনে যে বড় একটা হৃদয় আছে, তা অস্বীকার করা কঠিন। এক সমর্থকের ভবিষ্যৎ, একটি জীবনের সম্ভাবনা সেটার জন্য যদি একটি জয় বিসর্জন দিতে হয়, বাংলাদেশ দল সে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার