ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
শেখ পরিবার ও ১০ গ্রুপের ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

ডুয়া নিউজ: বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সেগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে।
টাস্কফোর্স জানিয়েছে, গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দেশ ত্যাগকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জব্দ করা হয়েছে এবং ৮৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দ্রুত মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, অর্থপাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দেন এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশনা দেন।
শেখ হাসিনার পরিবারের বাইরেও ১০টি বড় শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
এস আলম গ্রুপ
-
বেক্সিমকো গ্রুপ
-
নাবিল গ্রুপ
-
সামিট গ্রুপ
-
ওরিয়ন গ্রুপ
-
জেমকন গ্রুপ
-
নাসা গ্রুপ
-
বসুন্ধরা গ্রুপ
-
সিকদার গ্রুপ
-
আরামিট গ্রুপ
এই শিল্পগোষ্ঠীর প্রধানদের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন ও বিদেশে সম্পদ সম্পর্কেও তদন্ত চলছে। অনেকেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে, সরকার নতুন করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করে, যেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এর আগে, এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১৪।
অর্থপাচার বিষয়ক তদন্ত ও নজরদারি চালাচ্ছে সিআইডি, এনবিআর, দুর্নীতি দমন কমিশন ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ তদন্ত দল, যা পরিচালনা করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি গভর্নর লন্ডন সফরে গিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়, তাহলে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ লক্ষ্যে গভর্নর তাদের বাংলাদেশে এসে মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যালোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান