ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
নিউইয়র্কে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

ডুয়া ডেস্ক : বাঙালি জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। তাইতো বিদেশ-বিভূঁইয়ে থেকেও ভুলে যাননি দিনটি পালনের কথা। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এ সময় কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫- এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
নাজমুল হুদা বলেন, “মূলত ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি প্রোথিত হয় যা পূর্ণতা পায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। তিনি ৫২’র মহান ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ সকল ভাষা শহীদ, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সব শহীদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন।”
কনসাল জেনারেল বলেন, “ভাষা একটি একান্ত মানবিক বিষয় যা মানুষের অস্তিত্বের প্রায় সমার্থক। এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে একজন ব্যক্তির বোধগত, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক দক্ষতার সঠিক পুষ্টি তার মাতৃভাষার মাধ্যমে বিকশিত হয়। তাই নিজের মাতৃভাষা লেখা ও ব্যবহার করার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য। ২১ ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা হল পৃথিবীর সব ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্বতা রক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বলে তিনি মন্তব্য করেন।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। এ বছর ’আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর রজতজয়ন্তী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার চর্চা এবং প্রসারে, বিশেষত নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে, যে চমৎকার ভূমিকা পালন করছেন, তিনি তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।”
নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল বলেন, “২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যসিবাদ বিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী গণ-অভ্যুথান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান