ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

ডুয়া নিউজ: গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ((দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া এই প্রতিবেদনে কমিশন জানায়, তারা ১,৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮টির যাচাই-বাছাই করেছে।
কমিশন অনুসন্ধান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গুমের ঘটনা ডেকে আনার প্রমাণ পেয়েছে। এ ছাড়া হাসিনার প্রশাসনের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
কমিশন গুমের শিকারদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করতে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে।
কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের কর্মকাণ্ড এমনভাবে পরিচালনা করেছেন যে, শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে গেছে। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার অনেকেই এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তাদের ওপর যেসব নির্যাতন করা হয়েছে, তা এখনও তাদের মনে ভীতি তৈরি করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং সঠিক বিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে বলার পর রিপোর্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা জানান কমিশনের সদস্যরা এবং তাঁকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান।
তারা জানান, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিকটিমরা কিছুটা সাহস পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের অনুরোধে সম্মতি দিয়ে বলেন, তিনি শীঘ্রই জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত, দেখতে যাবেন।
কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা আগামী তিন মাসে মার্চের মধ্যে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অন্তত আরও এক বছরের প্রয়োজন হতে পারে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ উচ্চতায় শেয়ারবাজারের ৯ কোম্পানি