ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

যুক্তরাজ্যে ভারতীয় রেস্তোরাঁ-বারে ব্যাপক অভিযান, ধরপাকড়

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৯:২৪:১৮
যুক্তরাজ্যে ভারতীয় রেস্তোরাঁ-বারে ব্যাপক অভিযান, ধরপাকড়

ডুয়া ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার যুক্তরাজ্যও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে। দেশটি সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। ইউরোপের এই দেশটিতে বহু অবৈধ ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন এবং তাদেরকে ধরতে ভারতীয় রেস্তোরাঁ, নেইল বার, কনভেনিয়েন্স স্টোর এবং কার ওয়াশের মতো স্থানগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই জায়গাগুলোর মধ্যে মূলত অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করে যুক্তরাজ্য সরকারও অবৈধ অভিবাসী এবং তাদের কাজের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে "ইউকে-ওয়াইড ব্লিটজ"। অভিযানে ভারতীয় রেস্তোরাঁ, নেইল বার, কনভেনিয়েন্স স্টোর এবং কার ওয়াশের মতো স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এসব স্থানে সাধারণত অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একের পর এক ভারতীয় রেস্তোরাঁ ও গাড়ি পরিষ্কারের দোকানে অভিযান চালাচ্ছেন। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউভেট কুপারের কার্যালয় জানায়, উত্তর ইংল্যান্ডের হামবারসাইড এলাকার একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে সাতজনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া একই সন্দেহে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।

এই অভিযান নিয়ে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুপার বলেছেন, “অভিবাসন আইন অবশ্যই মেনে চলা উচিত”। পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, “বহুদিন ধরে নিয়োগকারীরা অবৈধ ভাবে শ্রমিক নিয়োগ করে তাদের শোষণ করেছেন। এই সমস্ত শ্রমিক অবৈধভাবে কাজ করে গেলেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত জানুয়ারি মাসে ৮২৮টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এটি গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি। এক মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬০৯ জন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈধ পরিচয়পত্রহীন শ্রমিকদের নিয়োগের জন্য নিয়োগকারী সংস্থা বা ব্যক্তিকে ১০৯০টি নোটিশ পাঠিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

ব্রিটেনে রাজনৈতিক পরিবেশে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে 'রিফর্ম ইউকে'র মতো কট্টরপন্থি দলগুলো। তারা কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নের পক্ষে। এসব দলের চাপের কারণে ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকারও অভিবাসন নীতি কঠোর করার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, অবৈধ অভিবাসী ধরতে ধারাবাহিক অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে, ট্রাম্পের নীতির অনুসরণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সরকার অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশগুলোতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

অবৈধ অভিবাসী ধরতে ধারাবাহিক অভিযান চলতে পারে। এছাড়াও ট্রাম্পের পথে হেঁটেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিমানে চাপিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ফেরত পাঠাতে শুরু করবে কিনা, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত