ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

“অতীতে নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘মন্ত্রী’ হিসেবে কাজ করেছে”

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৬:৩৫:৫০

“অতীতে নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘মন্ত্রী’ হিসেবে কাজ করেছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে বলেছেন, জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে পারলেই দেশে শান্তি ফিরবে। তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘মন্ত্রী’ হিসেবে কাজ করেছে, কিন্তু এবার ইসির সামনে আস্থা ফেরানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।

রোববার দ্বিতীয় দিনের সংলাপের দ্বিতীয় সেশনে এই মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “আজ আমি প্রস্তাব দেখার জন্য আসিনি। এসেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানাতে এবং সংলাপে অংশ নিতে।” দীর্ঘদিন সরকার ডাকলেও আলোচনায় অংশ না নেওয়ার কারণও তিনি তুলে ধরেন।

কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৪০-৫০টি দল থাকা সত্ত্বেও সংলাপে আলোচনা হয় মাত্র দুই-তিনটির সঙ্গে, যা নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। অতীতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যেন ‘শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগই বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। এই কারণে কারাবন্দি করা হলে ইতিহাসের কাছে জবাব দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইসি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; সরকারের কাজ হলো শুধু তার সিদ্ধান্ত মেনে চলা।

অতীতের নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে কাদের সিদ্দিকী জানান, এক কেন্দ্রে ১৭০৮ ভোট ২৬০০-এ উন্নীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, মানুষ তিনবার ভোট দিতে পারেনি। না খেয়ে থাকা সম্ভব, কিন্তু ভোট দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করা সম্ভব নয়।

তিনি সতর্ক করে বলেন, আন্দোলনের কারণে কাউকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়, তবে টাকা খেলে বা মানুষ মারলে শাস্তি অবশ্যই প্রযোজ্য। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার সিদ্ধান্তকে ‘বড় অসংগতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানান, অধ্যাপক ইউনূসের সরকার তাঁদের দলকে কোনও বৈঠকে ডেকেনি, তাই ইসির আমন্ত্রণে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি যোগ করেন, “আপনারা যদি জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিন, তবেই দেশের শান্তি ফিরে আসবে। বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের চেয়েও শান্ত দেশ হতে পারে।”

তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “রিকশাওয়ালা, ক্ষেতমজুর এই সাধারণ মানুষের সম্মানের জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছিল।”

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত