ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

বিমান চলাচল ও ট্রাভেল এজেন্সি আইনে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৯:৩২:২২

বিমান চলাচল ও ট্রাভেল এজেন্সি আইনে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশের আকাশপথে যাত্রীদের ৮০ শতাংশেরও বেশি অভিবাসী কর্মী। নতুন এই অধ্যাদেশগুলো কার্যকর হলে এই বিশাল যাত্রীগোষ্ঠীসহ সকল সাধারণ যাত্রীর সেবা আরও আধুনিক, নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মূল পরিবর্তনসমূহ: যাত্রীদের নিরাপত্তা, সুবিধা ও অধিকার রক্ষায় ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ’ শব্দগুচ্ছ যুক্ত করা হয়েছে, বিদেশি এয়ারলাইনসের জন্য জিএসএ নিয়োগ ঐচ্ছিক করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, টিকিট বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে জিডিএস, এনডিসি এবং এপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে টিকিট ব্লকিং, কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রোধ হবে।

এয়ার অপারেটরদের ট্যারিফ দাখিল ও মনিটরিংয়ের বিধান যুক্ত করা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব নীতির আওতায় কার্বন নিঃসরণ কমানো ও টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে, সরকারকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল অর্থনৈতিক কমিশন’ গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিমানবন্দরের ফি, চার্জ, রয়্যালটি ও ভাড়ার হার নির্ধারণে স্বচ্ছতা আনবে, সাইবার সুরক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন ও ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মূল পরিবর্তনসমূহ: অবৈধ অর্থ লেনদেন, মানি লন্ডারিং, টিকিট মজুতদারি, প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিতের ১১টি নতুন কারণ যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে অবৈধ টিকিট বিক্রয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, প্রতারণা বা আর্থিক আত্মসাতের ঘটনায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা পাবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দুটি অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় শৃঙ্খলা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যাত্রীদের অধিকার ও টিকিটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত