ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আইআরআই’র ৮ প্রস্তাব

২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৭:১৮:২০

নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আইআরআই’র ৮ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি নির্বাচনী অংশীজনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশন, সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য আট দফা সুপারিশ দিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপারিশগুলো যদি নির্বাচনের আগে এবং পরে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তা নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনসাধারণের আস্থা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।

প্রতিবেদনে যে আট দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো:

১. জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন: রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুত জুলাই জাতীয় চার্টার চূড়ান্ত করে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। অস্থায়ী সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে গণভোটের জন্য একটি স্পষ্ট ও বৈধ কাঠামো তৈরি করবে।

২. নাগরিক শিক্ষা জোরদার করা: প্রথমবারের ভোটার, নারী, যুব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সংবিধান, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংস্কার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

৩. নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: রাজনৈতিক দলগুলোকে নারী প্রার্থী মনোনয়ন, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ এবং সংরক্ষিত আসনের বাইরেও নারীদের রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

৪. প্রার্থী নির্বাচনে স্বচ্ছতা: দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক ও পক্ষপাতমুক্ত হতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারী প্রার্থী ও প্রচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

৫. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সমন্বয় বৃদ্ধি: নির্বাচন কমিশনকে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যৌথ নিরাপত্তা পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে ভোটারদের আস্থা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

৬. নাগরিক পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা: নির্বাচন কমিশনকে নাগরিক পর্যবেক্ষক অনুমোদনের মানদণ্ড প্রকাশ করতে হবে। অনুমোদিত পর্যবেক্ষকরা নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং নিয়মিত ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় নিশ্চিত করতে হবে।

৭. রাজনৈতিক তহবিলে স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়ের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে আইন সংশোধন প্রস্তাব দিতে হবে।

৮. স্বাধীন তথ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণ: গণমাধ্যমকে পেশাগত মান ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। ভোটারদের তথ্য সচেতনতা বাড়াতে নাগরিক সমাজ ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে কাজ করবে।

আইআরআইয়ের প্রতিবেদনে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, এই সুপারিশগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন আরও স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত