ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

বিদেশে পড়ার জন্য যে কাগজগুলো অবশ্যই তৈরি রাখবেন

২০২৫ অক্টোবর ৩০ ২৩:৩৯:৫৫

বিদেশে পড়ার জন্য যে কাগজগুলো অবশ্যই তৈরি রাখবেন

সরকার ফারাবী: বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাগজপত্রের যথাযথতা এবং সঠিক সময়ে প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। একটি নথি ভুল বা অসম্পূর্ণ থাকলেই আপনার আবেদন বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বিদেশে পড়া শুরু করার আগেই নিচের নথিগুলো ঠিক করে রাখা জরুরি কারণ প্রতিটিই ভর্তির ও ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।

১। পাসপোর্ট

বিদেশে যাত্রার সবচেয়ে মৌলিক নথি হল বৈধ পাসপোর্ট। আন্তর্জাতিক পরিবহনে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি উভয়ের জন্যই এটি অনিবার্য। নিশ্চিত করুন পাসপোর্টের মেয়াদ আপনার পড়াশোনার সময়কাল পর্যন্ত বৈধ আছে; শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করে নিন।

২। অফার লেটার

ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত ভর্তির নিশ্চয়তা দেখায় এমন চিঠিকে অফার লেটার বলে। ভিসা আবেদন, স্কলারশিপ ও অন্যান্য অ্যাডমিশন ধাপগুলোতে এটি মূল প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগে।

৩। একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট

আপনার পূর্বের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ এসএসসি, এইচএসসি, ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমা দিতে হয়। যদি কাগজগুলো বাংলা বা অন্য ভাষায় থাকে, তবে অফিসিয়াল ইংরেজি অনুবাদ এবং সত্যায়িত কপি প্রস্তুত রাখুন।

৪। ভাষা দক্ষতার প্রমাণ

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ কোর্সই ইংরেজিতে হয়; তাই আইইএলটিএস, টোয়িএফএল, জিআরই, জিম্যাট বা এসএটির মতো পরীক্ষার স্কোর জমা দিতে হতে পারে। দেশ ও প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় মিনিমাম স্কোর আলাদা হয়।

৫। আর্থিক প্রমাণ

বিদেশে পড়াশোনার খরচ বহন করার সক্ষমতা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পনসর লেটারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয়। কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক।

৬। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন

বহু দেশের ভিসা ও আবাসন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। এটি দেখায় যে আপনি বিদেশে বসবাসের উপযুক্ত এবং গুরুতর সংক্রামক রোগ নেই বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি দেশের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

৭। ভিসা আবেদনপত্র ও ফি

ঠিকভাবে পূরণকৃত ভিসা ফর্ম এবং সংশ্লিষ্ট ফি জমা হলো ভিসা প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান ধাপ। ভুল তথ্য বা অসম্পূর্ণ ফর্ম ভিসার বিলম্ব বা বাতিল হওয়ার কারণ হতে পারে সতর্কতার সাথে ফর্ম পূরণ করুন।

৮। ছবি

সাধারণত পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হয়। দেশের নিয়ম অনুযায়ী ছবি আকার, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ফরম্যাট মেনে চলা জরুরি; অধিকাংশ ফটো স্টুডিও এই অনুযায়ী কাজ করে।

৯। সুপারিশপত্র

রেকমেন্ডেশন লেটার কোনো শিক্ষক বা কর্মক্ষেত্রে সুপারভাইজার লিখে দেন আপনার একাডেমিক দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে মূল্যায়ন হিসেবে। অধিকাংশ অনুশীলনে ২–৩টি সুপারিশপত্র চাওয়া হয় এবং এগুলো ভর্তি সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১০। স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SoP)

স্টেটমেন্ট অব পারপাসে আপনি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন কেন ওই প্রোগ্রামটি এবং কেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। এতে আপনার আগ্রহ, পূর্ব অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা ফুটে ওঠা উচিত।

১১। লেটার অব মোটিভেশন

লেটার অব মোটিভেশন একটি ব্যক্তিগত বিবৃতি আপনি কেন সেই কোর্স বেছে নিয়েছেন, আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য কী এবং কেন আপনি যোগ্য এসব সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে এটি আবেদন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশগুলোর একটি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত