ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২
মেগা প্রজেক্টে বিপুল ব্যয়, নদীভাঙা মানুষ অবহেলিত: রিজওয়ানা হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমরা বড়ো বড়ো মেগা প্রজেক্টের কথা ভাবি, কিন্তু নদীভাঙা মানুষের কথা ভাবি না ।
তিনি বলেছেন, আমরা খুব পুলকিত পদ্মা সেতু নিয়ে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা পৌঁছে যাচ্ছি, এটা আনন্দিত হওয়ারই বিষয়। বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে আমরা এই পদ্মা সেতুটা করলাম। কিন্তু একই রকম গুরুত্বের সঙ্গে আমরা নদীভাঙা মানুষগুলোকে যে বাঁচাতে হবে এই কথাটা ভাবি না।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের হাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৪০০-৫৫০ কোটি টাকা থাকে প্রতিবছর নদীভাঙন এলাকার মানুষকে সুরক্ষা দিতে। আমি একটা হিসাব করালাম যে, পুরোনো বাঁধ মেরামত করতে হবে, এমন বাঁধ ঠিক করা ও স্থায়ী বাঁধ দেওয়া— এগুলো দিতে আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে ১১০০ কোটি টাকা। আমরা যদি বলি যে আমাদেরকে ৫৫০ কোটি টাকা না দিয়ে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হোক নদী ভাঙনের মানুষগুলোর পাশে থাকতে। কিন্তু দেখা যাবে কি ওখানে আমরা ৫০০ কোটি টাকা বাড়াব? কিন্তু আমরা যদি একটা মেগা প্রকল্পের কথা বলি যে বিশাল একটা ছয় লেনের রাস্তা হবে, সেখানে কিন্তু সরকার কম দ্বিধান্বিত হবে। এটা আমি আমাদের সরকারের কথা বলছি না, এটা হচ্ছে আমাদের উন্নয়নের অবস্থা। বরাদ্দ কোথায় বাড়ানো হবে এটা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলেও জানান উপদেষ্টা।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন একটা বাস্তবতা। সেখানে যদি আমি উন্নয়নকে টেকসই করতে চাই তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য ইনভেস্টমেন্ট না বাড়িয়ে কিন্তু আমি আমার উন্নয়নকে টেকসই করতে পারবো না। আজকে এত বড়ো একটা পদ্মা সেতু আমাদের হলো, হঠাৎ করে জাজিরাতে ভাঙন ধরা পড়ল, ওই ভাঙন আসলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মতো ব্যয় না করে কোনোভাবেই প্রতিহত করা সম্ভব না।
জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ক্ষুদ্র পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃহৎ পর্যায়ে আমাদের উন্নয়ন দর্শনেও পরিবর্তন আনতে হবে। বৃহৎ পরিসরে আমরা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে পারি, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হতে সময় লাগে চার-পাঁচ বছর। এর মধ্যবর্তী সময়ে যেসব ছোট ছোট ভাঙন দেখা দিচ্ছে, সেগুলো মোকাবিলায় এখনই অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে সমস্যা কোথায়? সরকারের এত অর্থই তো দুর্নীতি ও অপচয়ের মাধ্যমে হারিয়ে যায়, অনেক টাকা অব্যবহৃত থাকে— সেই অর্থ মানুষের সুরক্ষায় ব্যয় করা উচিত।
কেএমএ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান: ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ-খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শনিবারের ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
- ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কবে? জানানো হলো নতুন তারিখ
- জায়ান্টস বনাম এমিরেটস: বোলিংয়ে সাকিব-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- আবু ধাবি নাইট রাইডার্স বনাম শারজাহ ওয়ারিয়র্জ: বোলিংয়ে তাসকিন-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- ভারত-পাকিস্তানের জমজমাট ফাইনাল ম্যাচটি শেষ-দেখে নিন ফলাফল
- স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা বলছে ঢাবির কর্তৃপক্ষ
- আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম (২০ ডিসেম্বর)
- এবার প্রকাশ্যে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
- শারজাহ ওয়ারিয়র্স বনাম দুবাই ক্যাপিটালস: ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা-সরাসরি দেখুন
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় থাকছে বুয়েটের প্রযুক্তি
- ব্লুমবার্গের তালিকায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কোম্পানির বড় লাফ
- চবির ‘এ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু আজ
- বোনাস অনুমোদনে দ্বিমুখী নীতি, প্রশ্নের মুখে বিএসইসি