ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২
জেনে নিন আসল সোনা চেনার কৌশল
ডুয়া ডেস্ক: সোনার প্রতি মানুষের টান চিরকালীন। দাম যতই বাড়ুক না কেন, সোনার প্রতি সেই আকর্ষণ আজও অটুট। বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে সোনার গহনা ছাড়া সাজ সম্পূর্ণ মনে হয় না। কেবল অলঙ্কার নয়, সোনা এখন নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতীকও। তাই অনেকেই দোকানের বদলে ব্যক্তিগতভাবে বা কম দামে সোনা কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু এখানেই ঘটে বিপত্তি খাঁটি সোনা আর নকল চেনা সব সময় সহজ নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমেই বাড়িতে বসে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে হলমার্ক যাচাই, চুম্বক পরীক্ষা, স্ক্র্যাচ টেস্ট, পানির ঘনত্ব পরীক্ষা এবং নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার।
সোনা সাধারণত ক্যারেট অনুযায়ী মাপা হয়১০, ১৪, ১৮, ২২ ও ২৪ ক্যারেট। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ ক্যারেটের সোনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ক্যারেট যত বেশি, সোনা তত বেশি বিশুদ্ধ।
সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায় হলো হলমার্ক দেখা। গহনার ভেতরের দিকে খোদাই করা ছোট্ট হলমার্ক নম্বর যেমন ২৪, ২২ বা ১৮ সোনার বিশুদ্ধতার পরিচায়ক। নম্বর যত বড়, মানও তত ভালো।
নাইট্রিক অ্যাসিড পরীক্ষাও খাঁটি সোনা যাচাইয়ের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর জন্য সোনার সামান্য অংশ ঘষে নিয়ে তাতে নাইট্রিক অ্যাসিডের কয়েক ফোঁটা দিন। যদি কোনো রঙের পরিবর্তন না হয়, তবে বুঝবেন সোনা খাঁটি। কিন্তু রং পরিবর্তন হয়ে হালকা সবুজ হলে সেটি নকল বা মিশ্র ধাতুর।
আরেকটি সহজ উপায় হলো পানিতে পরীক্ষা। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে গহনা ফেলুন। খাঁটি সোনা দ্রুত ডুবে যাবে, কিন্তু নকল সোনা বা অন্য ধাতুর তৈরি গহনা ভাসতে পারে।
এছাড়া চুম্বক পরীক্ষা করেও সত্যতা জানা যায়। সোনাকে শক্তিশালী চুম্বকের কাছে ধরুন। যদি চুম্বক আকর্ষণ করে, তবে বুঝবেন তাতে অন্য ধাতুর মিশ্রণ আছে, কারণ খাঁটি সোনা কখনো চুম্বকে আকৃষ্ট হয় না।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন দোকান থেকেও মাঝে মাঝে ভেজাল সোনা বিক্রির ঘটনা ঘটে। তাই বড় অঙ্কের কেনাকাটার আগে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস