ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

জেনে নিন আসল সোনা চেনার কৌশল

২০২৫ অক্টোবর ২২ ১২:৫৮:৪৯

জেনে নিন আসল সোনা চেনার কৌশল

ডুয়া ডেস্ক: সোনার প্রতি মানুষের টান চিরকালীন। দাম যতই বাড়ুক না কেন, সোনার প্রতি সেই আকর্ষণ আজও অটুট। বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে সোনার গহনা ছাড়া সাজ সম্পূর্ণ মনে হয় না। কেবল অলঙ্কার নয়, সোনা এখন নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতীকও। তাই অনেকেই দোকানের বদলে ব্যক্তিগতভাবে বা কম দামে সোনা কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু এখানেই ঘটে বিপত্তি খাঁটি সোনা আর নকল চেনা সব সময় সহজ নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমেই বাড়িতে বসে সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে হলমার্ক যাচাই, চুম্বক পরীক্ষা, স্ক্র্যাচ টেস্ট, পানির ঘনত্ব পরীক্ষা এবং নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার।

সোনা সাধারণত ক্যারেট অনুযায়ী মাপা হয়১০, ১৪, ১৮, ২২ ও ২৪ ক্যারেট। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ ক্যারেটের সোনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ক্যারেট যত বেশি, সোনা তত বেশি বিশুদ্ধ।

সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায় হলো হলমার্ক দেখা। গহনার ভেতরের দিকে খোদাই করা ছোট্ট হলমার্ক নম্বর যেমন ২৪, ২২ বা ১৮ সোনার বিশুদ্ধতার পরিচায়ক। নম্বর যত বড়, মানও তত ভালো।

নাইট্রিক অ্যাসিড পরীক্ষাও খাঁটি সোনা যাচাইয়ের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর জন্য সোনার সামান্য অংশ ঘষে নিয়ে তাতে নাইট্রিক অ্যাসিডের কয়েক ফোঁটা দিন। যদি কোনো রঙের পরিবর্তন না হয়, তবে বুঝবেন সোনা খাঁটি। কিন্তু রং পরিবর্তন হয়ে হালকা সবুজ হলে সেটি নকল বা মিশ্র ধাতুর।

আরেকটি সহজ উপায় হলো পানিতে পরীক্ষা। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে গহনা ফেলুন। খাঁটি সোনা দ্রুত ডুবে যাবে, কিন্তু নকল সোনা বা অন্য ধাতুর তৈরি গহনা ভাসতে পারে।

এছাড়া চুম্বক পরীক্ষা করেও সত্যতা জানা যায়। সোনাকে শক্তিশালী চুম্বকের কাছে ধরুন। যদি চুম্বক আকর্ষণ করে, তবে বুঝবেন তাতে অন্য ধাতুর মিশ্রণ আছে, কারণ খাঁটি সোনা কখনো চুম্বকে আকৃষ্ট হয় না।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন দোকান থেকেও মাঝে মাঝে ভেজাল সোনা বিক্রির ঘটনা ঘটে। তাই বড় অঙ্কের কেনাকাটার আগে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত