ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভিভিআইপি, ভিআইপি, সিআইপি: সব তথ্য এক নজরে জানুন

২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৫:০২:১৩

ভিভিআইপি, ভিআইপি, সিআইপি: সব তথ্য এক নজরে জানুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশে ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি—এই তিনটি ক্যাটেগরিতে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে একটি রেডবুক আছে। রেডবুক অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি (Very Very Important Person) হিসেবে বিবেচিত হন। ভিভিআইপি ব্যক্তিরা দেশের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহনকারী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পরের ধাপে আছেন ভিআইপি (Very Important Person), যারা রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের সিআইপি (Commercially Important Person) হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিহ্নিত করে।

যেসব ব্যক্তির অবস্থান, দায়িত্ব ও মর্যাদা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যাদের নিরাপত্তা হানি হলে রাষ্ট্রীয় সংকট তৈরি হতে পারে, তাদের ভিভিআইপি ও ভিআইপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান আইনগতভাবে ভিভিআইপি মর্যাদা ও নিরাপত্তা ভোগ করেন। এছাড়া জাতির জনকের পরিবারের সদস্যদের জন্যও বিশেষ নিরাপত্তা বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সরকারের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রের উচ্চপদে আসীন এবং গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ ও প্রশাসনিক কাজে জড়িত ব্যক্তিদের এই মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারের বিবেচনায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১-এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করা যে কোনো ব্যক্তি, যার নিরাপত্তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা দেয় কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন। পদাধিকার বলের ব্যক্তি যেমন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই।

নিরাপত্তা সুবিধার ক্ষেত্রে, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) দ্বারা সংরক্ষিত হন। এসএসএফ দায়িত্বে থাকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির দৈহিক নিরাপত্তা, ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ। পরিস্থিতি অনুযায়ী, ক্ষতিকর ব্যক্তি বলে মনে হলে এসএসএফ তাকে বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আটক করতে পারে এবং চরম পরিস্থিতিতে গুলি বা হত্যা করার ক্ষমতাও রয়েছে। এই নিরাপত্তা বিধান দেশের যেকোনো প্রান্তে প্রযোজ্য।

অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষিত হলে তারা সরকারি প্রোটোকল, নিরাপত্তা, যানজট মুক্ত সুবিধা এবং অনুষ্ঠান বা ভ্রমণের সময় সরকারি সহায়তা পেয়ে থাকেন। এছাড়া এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণ জনগণের তুলনায় বিশেষ নিরাপত্তা, সংরক্ষিত এলাকা, বিশেষ যানবাহন ও নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা সুরক্ষিত থাকেন।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত