ঢাকা, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঘন ঘন হেঁচকি? বিপদের ইঙ্গিতও হতে পারে

২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০০:০২:১৩

ঘন ঘন হেঁচকি? বিপদের ইঙ্গিতও হতে পারে

পার্থ হক: হঠাৎ হঠাৎ হেঁচকি ওঠা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ এই সমস্যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী না হলেও, ঘন ঘন বা দীর্ঘ সময় ধরে চললে তা অস্বস্তির পাশাপাশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেন এই হেঁচকি হয় এবং কীভাবে দ্রুত থামানো যায় এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান বেশ কিছু কার্যকর ব্যাখ্যা দিয়েছে।

হেঁচকি মূলত ডায়াফ্রাম নামের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী বড় পেশীর অনিয়ন্ত্রিত সংকোচনের ফল। বুক ও পেটের মাঝখানে থাকা এই পেশী হঠাৎ সংকুচিত হলে দ্রুত বাতাস ফুসফুসে ঢুকে পড়ে এবং সেই সঙ্গে স্বরতন্ত্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ফলে ‘হিক’ শব্দে হেঁচকি ওঠে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেগাস নার্ভ বা ফ্রেনিক নার্ভের উদ্দীপনা ও জ্বালা ডায়াফ্রামের সংকোচনের প্রধান কারণ। অনেক সময় খুব তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, গ্যাসসমৃদ্ধ পানীয় পান করা, অত্যন্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ অথবা অ্যালকোহল গ্রহণেও হেঁচকি দেখা দেয়।

হেঁচকি থামানোর উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্বাস নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। কিছুক্ষণ শ্বাস আটকে রাখা কিংবা কাগজের ব্যাগে শ্বাস নেওয়া শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়িয়ে ডায়াফ্রামের স্প্যাজম কমাতে পারে। ঠান্ডা পানি পান, চিনি বা মধু খাওয়া, আলতোভাবে জিহ্বা টেনে ধরা কিংবা গার্গল করা এসবও ভেগাস নার্ভকে উদ্দীপিত করে হেঁচকি বন্ধে সহায়তা করে।

চিকিৎসকেরা আরও বলেন, কিছু শারীরিক ব্যায়াম বা ভঙ্গি পরিবর্তন যেমন হাঁটুর সঙ্গে বুক চেপে ধরা এটিও ডায়াফ্রামের চাপ কমিয়ে হেঁচকি থামাতে পারে।

তবে সাধারণ হেঁচকি দ্রুত সেরে গেলেও, যদি এটি অস্বাভাবিকভাবে ৪৮ ঘণ্টার বেশি চলতে থাকে, তবে সেটি সাধারণ হেঁচকি নয়। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের ভেতরের অন্য কোনও জটিলতা দায়ী থাকতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকিকে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত