ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

চীনে সামরিক শুদ্ধিকরণ: ৯ জেনারেল বরখাস্ত

২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১০:৪৬:২২

চীনে সামরিক শুদ্ধিকরণ: ৯ জেনারেল বরখাস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে। এটি কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সামরিক শুদ্ধিকরণের অন্যতম বৃহৎ অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পার্টি এই পদক্ষেপকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান হিসেবে উল্লেখ করেছে, যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর পেছনে রাজনৈতিক শুদ্ধিকরণের ইঙ্গিতও থাকতে পারে।

চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নয়জন জেনারেল মারাত্মক আর্থিক অপরাধের জন্য সন্দেহভাজন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তিন তারকা জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ, যা পার্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ফোরাম।

বরখাস্তকৃত জেনারেলরা হলেন:

হি ওয়েইডং – সিএমসির ভাইস চেয়ারম্যান, চীনের সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা

মিয়াও হুয়া – সিএমসির রাজনৈতিক বিভাগের ডিরেক্টর

হে হংজুন – সিএমসির রাজনৈতিক বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডেপুটি ডিরেক্টর

ওয়াং জিউবিন – সিএমসির জয়েন্ট অপারেশন কমান্ড সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডেপুটি ডিরেক্টর

লিন জিয়াংইয়াং – ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডার

কিন শুতং – সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক কমিশনার

ইউয়ান হুয়াজি – নৌবাহিনীর রাজনৈতিক কমিশনার

ওয়াং হৌবিন – রকেট ফোর্সেস কমান্ডার

ওয়াং চুনিং – আর্মড পুলিশ ফোর্স কমান্ডার

হি ওয়েইডং পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন এবং তিনিই প্রথম শীর্ষ কর্মকর্তা, যিনি এমন তদন্তের আওতায় পড়েছেন। তার মার্চের পর জনসম্মুখে অনুপস্থিতি এই শুদ্ধিকরণের সম্ভাবনার জল্পনা সৃষ্টি করেছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই নয় ব্যক্তি দলের শৃঙ্খলার মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে এবং দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট গুরুতর অপরাধের জন্য সন্দেহভাজন। বর্তমানে তারা সামরিক আদালতের মুখোমুখি এবং শাস্তি প্রসেস চলছে।

কমিউনিস্ট পার্টি এবং সিএমসি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল শুদ্ধিকরণের। জুলাই মাসে সামরিক বাহিনীতে দূষিত প্রভাব দূর করতে এবং ক্যাডারদের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগেও ছোট পর্যায়ে সামরিক শুদ্ধিকরণ অভিযান চলেছিল; সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘে এবং লি শাংফু-কেও এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছিল।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ফেলো নেইর থমাস বলেন, শি জিনপিং-এর শুদ্ধিকরণ মূলত তার ক্ষমতার প্রদর্শন। তিনি আরও বলেন, শি’র দৃষ্টিকোণ হলো, অবিশ্বস্ত ও দুর্নীতিপরায়ণ ক্যাডারদের বাদ দিয়ে পার্টিকে পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল ও কার্যকর রাখা। এই শুদ্ধিকরণ শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।

বিশ্লেষকরা এখন দৃষ্টি রাখবেন ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া পার্টির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে কারা অংশ নেবেন।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাপানি রেস্টুরেন্ট ইজাকায়া ঢাকায় একদিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে ড্রোন ব্যবহার... বিস্তারিত