ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

পাকিস্তানকে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ২০:৪০:১৯

পাকিস্তানকে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে উন্নত মধ্যম-পাল্লার আকাশ-থেকে-আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (AMRAAM) সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রধান প্রতিষ্ঠান রেথিয়ন ইসলামাবাদকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত মার্কিন এফ-১৬ ফ্যালকন যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

মার্কিন যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ৩০ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রেথিয়নের সঙ্গে চুক্তিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত C8 এবং D3 AMRAAM ভেরিয়েন্টের ক্রেতাদের তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই সরবরাহ ২০৩০ সালের ৩০ মে’র মধ্যে সম্পন্ন হবে।

চুক্তিতে পাকিস্তান ছাড়াও যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, কাতার, ওমান, কোরিয়া, গ্রিস, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, চেক প্রজাতন্ত্র, জাপান, স্লোভাকিয়া, ডেনমার্ক, কানাডা, বেলজিয়াম, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, কুয়েত, সুইডেন, তাইওয়ান, লিথুয়ানিয়া, ইসরায়েল, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি এবং তুরস্কের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তান প্রথমবার ৭০০টি AMRAAM ক্রয় করেছিল, যা তখনকার সময়ে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক অস্ত্র অর্ডার ছিল। পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপারেশন সুইফট রিটর্ট চলাকালীন, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে কাশ্মীরের উপর দিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিল।

কিছু বছর ধরে কূটনৈতিক দূরত্বের পর, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সম্প্রতি ক্রমেই উন্নতি পাচ্ছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন পর্যায় সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

গত জুনে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনিরকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হয়। সেই বৈঠকের পরই দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সম্পর্ক উন্নতি ঘটে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার খবরও আসে। এরপর জুলাই মাসে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করে এবং ইসলামাবাদকে বিশাল তেলের মজুদ উন্নয়নে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তী কয়েক মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত