ঢাকা, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২

ট্রাম্পকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের হামলা

২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:১৪:৩৯

ট্রাম্পকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে গাজা পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রতি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শর্তসাপেক্ষে সম্মতি জানালে কিছুটা শান্তির আশার আলো দেখা যায়। এর পরপরই ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান। কিন্তু তার আহ্বান উপেক্ষা করে শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “গতকাল রাতটি ছিল অত্যন্ত সহিংস। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে একাধিক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ডাক দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেছে।” তিনি আরও জানান, এই হামলায় অন্তত ২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণের পর এবং ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের বার্তার পর গাজা সিটির মানুষজন ধীরে ধীরে নিজ ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেন। তবে এর পরই ইসরায়েলি বাহিনী সতর্ক করে জানায়, গাজা সিটি এখনো যুদ্ধপ্রবণ এলাকা এবং সেখানে ফিরে যাওয়া জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের অভিযান এখনো গাজা সিটিতে চলছে। এলাকাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। গাজার উত্তর, দক্ষিণ ও যেখানে আমাদের সেনারা সক্রিয় রয়েছে সেসব এলাকায় যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।”

এদিকে হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেওয়ার পর গাজার সাধারণ জনগণের মধ্যে যুদ্ধ অবসানের একটা আশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে চলা এই সংঘাত হয়তো এবার শেষের পথে। তবে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। কারণ প্রস্তাবে ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও, হামাসকে অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে যা হামাসের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত