ঢাকা, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২
যুদ্ধ থামাতে পারলেই ট্রাম্পের নোবেল জয়: ম্যাক্রোঁ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকলে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তার মতে, এই সংঘাত বন্ধ করতে হলে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা জরুরি এবং এ মুহূর্তে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর যদি ইসরায়েল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে তার জবাব দেওয়ার জন্য ফ্রান্স প্রস্তুত। মঙ্গলবার ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি এমনটা ঘটে, আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো। আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। তবে আমি মনে করি, আমাদের উচিত শান্তি ও বন্ধুত্বের পথ বেছে নেওয়া।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারকে সামনে রেখে উদ্যোগ নিচ্ছেন—এ প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁর মন্তব্য, “পুরস্কার তখনই সম্ভব, যখন যুদ্ধ থামবে। তাই গাজায় সংঘাত বন্ধ করতে ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।”
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর সম্ভাব্য ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, ফ্রান্স ইতিমধ্যেই “সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি” নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় যদি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকে এবং সাধারণ মানুষ হত্যার শিকার হতে থাকে, তবে ফ্রান্স নিশ্চুপ থাকবে না।
ম্যাক্রোঁর মতে, ইসরায়েলের বর্তমান নীতি কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নয়, বরং নিজেদের জনগণকে “অবিরাম যুদ্ধের” মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, “এ পরিস্থিতিতে যে একজন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ যুক্তরাষ্ট্রই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। আমরা কোনো যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ করি না।”
তিনি আরও জানান, ফ্রান্স যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে তা শুধু নেতানিয়াহুর সরকারকে নয়, বরং সমগ্র ইসরায়েলি সমাজকে বোঝাতে সহায়তা করছে যে এটি শান্তির জন্য নেয়া উদ্যোগ এবং তাদের সহযোগিতায়ই তা বাস্তবায়িত হবে।
এর আগে সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, অ্যান্ডোরা, ফ্রান্স, মাল্টা, মোনাকো ও সান মারিনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর একদিন আগে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল একই ঘোষণা দেয়। এভাবে ১৯৮৮ সালে ইয়াসির আরাফাতের ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৫৯টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলছে চট্টগ্রাম বনাম নোয়াখালীর ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- বিপিএল ২০২৬: সিলেট বনাম রাজশাহী-খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- আজ সিলেট বনাম রাজশাহীর ম্যাচ: সরাসরি দেখার উপায়-সময়সূচি
- ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কবে? জানানো হলো নতুন তারিখ
- জায়ান্টস বনাম এমিরেটস: বোলিংয়ে সাকিব-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- আবু ধাবি নাইট রাইডার্স বনাম শারজাহ ওয়ারিয়র্জ: বোলিংয়ে তাসকিন-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- ভারত-পাকিস্তানের জমজমাট ফাইনাল ম্যাচটি শেষ-দেখে নিন ফলাফল
- রাজশাহী ওয়ারিয়র্স বনাম সিলেট টাইটান্স: জমজমাট খেলাটি শেষ-জানুন ফলাফল
- কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রাম বনাম নোয়াখালীর ম্যাচ: সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা বলছে ঢাবির কর্তৃপক্ষ
- ২০২৬ বিপিএল: কবে, কখন, কোথায়-জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
- আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম (২০ ডিসেম্বর)
- এবার প্রকাশ্যে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
- শারজাহ ওয়ারিয়র্স বনাম দুবাই ক্যাপিটালস: ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা-সরাসরি দেখুন
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় থাকছে বুয়েটের প্রযুক্তি