ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২

গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে সম্মাননা পেলেন প্রধান উপদেষ্টা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ০৯:২৯:১৭

গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে সম্মাননা পেলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে আয়োজিত "গ্লোবাল এডুকেশন ডিনার"-এ প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে তাঁর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের স্বীকৃতি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের এক হোটেলে "দেয়ারওয়ার্ল্ড" আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রফেসর ইউনূসকে আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড প্রদান। ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করার আজীবন মিশনের জন্য এ সম্মাননায় ভূষিত হন।

দেয়ারওয়ার্ল্ড একটি আন্তর্জাতিক শিশু-কেন্দ্রিক দাতব্য সংস্থা, যা শিক্ষার বৈষম্য দূর করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে কাজ করছে। এ আয়োজনের সহ-আয়োজক ছিলেন জাতিসংঘের গ্লোবাল এডুকেশনের বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং সংস্থার চেয়ারম্যান সারাহ ব্রাউন।

এই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়। তবে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের মতে, ক্ষুদ্রঋণকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করে দারিদ্র্যমুক্তির স্থায়ী পথ তৈরিই ছিল ইউনূসের কাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী দিক।

গর্ডন ব্রাউন ইউনূসকে প্রশংসা করে বলেন, “গত ৫০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে এতটা কার্যকর বেসরকারি উদ্যোগ আর কেউ নিতে পারেনি।”

পুরস্কার গ্রহণকালে প্রফেসর ইউনূস মন্তব্য করেন, “ঋণ একটি মৌলিক মানবাধিকার, যা খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতোই অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “আর্থিক ব্যবস্থার দরজা সবার জন্য খুলে দিলে কেউ আর গরিব থাকবে না।”

নিজের বক্তব্যে তিনি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষার গভীর সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বিশেষ করে নারীদের ক্ষমতায়ন ও তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন।

একইসঙ্গে প্রফেসর ইউনূস শিক্ষার প্রচলিত ধ্যানধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও তিনি কেবল জ্ঞান বিতরণের জায়গা নয়, বরং মানুষের সমস্যার সমাধানের প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের আহ্বান জানান।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত