ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

ট্রাম্পের সইয়ে অভিবাসনে বড় পরিবর্তন

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৩:৫১:২৮

ট্রাম্পের সইয়ে অভিবাসনে বড় পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকায় অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনি একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করে ঘোষণা দেন, এখন থেকে বিদেশি নাগরিকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ‘গোল্ড কার্ড’ ও ‘প্ল্যাটিনাম কার্ড’ ভিসা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

নতুন নীতিমালা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস করতে চাইলে একজন বিদেশি নাগরিককে অন্তত ১০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা) খরচ করতে হবে। এর বিনিময়ে তিনি পাবেন ‘গোল্ড কার্ড’। আর মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে ২০ লাখ ডলার ব্যয় করে তাদের দক্ষ কর্মীদের জন্য দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করতে পারবে।

সই করার পর ট্রাম্প জানান, এই উদ্যোগ আমেরিকায় কয়েক কোটি ডলার প্রবাহিত করবে। এর ফলে কর কমানো, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতির গতি বাড়ানো সম্ভব হবে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেন, “আমেরিকার করদাতারা বৈধ অভিবাসন নীতির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।”

গত ফেব্রুয়ারিতেই ট্রাম্প প্রথম ‘গোল্ড কার্ড’-এর পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছিলেন। এখন সেটিই বাস্তবে রূপ পেল। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার জন্য অ-অভিবাসীরা ‘গ্রিন কার্ড’-এর আবেদন করতেন। তবে নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে আলাদা মর্যাদার ভিসা পাওয়া যাবে।

আমেরিকার বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, ‘গোল্ড কার্ড’ প্রকল্প মূলত বিশ্বসেরা মেধাবী ও উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যারা ভিসা পাবেন, তারা আমেরিকায় নতুন কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করবেন। তিনি আরও বলেন, গ্রিন কার্ডধারীরা বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদে থাকলেও তারা মার্কিনিদের চাকরি কেড়ে নেবেন না; বরং কর্মসংস্থান বাড়াবেন।

অন্যদিকে, আরও প্রিমিয়াম ভিসা হিসেবে চালু হচ্ছে ‘প্ল্যাটিনাম কার্ড’। এই ভিসা পেতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে কমপক্ষে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬১ কোটি টাকা)। এ ভিসাধারীরা বছরে ২৭০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারবেন এবং তাদের আয়কৃত অর্থের ওপর কোনও কর আরোপ হবে না। যদিও এ ভিসা কার্যকর করতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা চলতি বছরের শেষ নাগাদ মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া একই দিনে ট্রাম্প আরেকটি নির্দেশনায় সই করেন। এতে বলা হয়, এখন থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বছরে এক লাখ ডলার (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা) ফি দিতে হবে। যদিও এইচ-১বি ভিসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হচ্ছে না, তবে বিশাল অঙ্কের ফি নির্ধারণের কারণে সংস্থাগুলো হয়তো আর বিদেশি কর্মী নিয়োগে আগ্রহী হবে না।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাপানি রেস্টুরেন্ট ইজাকায়া ঢাকায় একদিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে ড্রোন ব্যবহার... বিস্তারিত