ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
গ্লোবাল মঞ্চে ইসলামী ব্যাংকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও একবার সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। লন্ডনভিত্তিক মর্যাদাপূর্ণ গ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস (জিফা) ২০২৫-এ ‘মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং ইসলামিক ব্যাংক-২০২৫’ খেতাব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ফোর সিজনস হোটেলে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ গ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স সামিট-এ আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্যাংকটি অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-ডুয়া কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য (কোষাধক্ষ) ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন মালদ্বীপের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান। এ সময় ক্যামব্রিজ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ফাইন্যান্স-এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হুমায়ুন দারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো’ সেরি আনোয়ার ইব্রাহীম। এতে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আন্তর্জাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী এবং নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। সামিটে ইসলামিক ব্যাংকিং খাতের সাম্প্রতিক অগ্রগতি, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং নীতিগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়।
জিফা অ্যাওয়ার্ডকে বৈশ্বিক ইসলামিক ফাইন্যান্স খাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসাধারণ অবদান রাখা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিশেষ করে শারিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা, উদ্ভাবনী আর্থিক পণ্য প্রবর্তন, এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষ ভূমিকার জন্যই এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে আসছে। দেশীয় বাজারে সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে আমানত সংগ্রহ, শারিয়াহভিত্তিক ঋণ ও বিনিয়োগ কার্যক্রম, এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদানে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই পুরস্কার প্রাপ্তি কেবল ইসলামী ব্যাংকের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের মর্যাদাকেও আরও সমুন্নত করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর প্রতি বৈশ্বিক আস্থা বাড়াবে। একই সঙ্গে দেশের আর্থিক খাতে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হবে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ