ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মিনিমালিজমের জীবনযাপন

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৬:৫৪:২০

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মিনিমালিজমের জীবনযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনিক ব্যস্ত জীবনে মানুষ যখন মানসিক চাপ, অপ্রয়োজনীয় খরচ এবং ভোগবাদী জীবনযাপনের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে, তখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিনিমালিজম বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিয়ে সরল জীবনযাপন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ট্রেন্ড ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি জীবনধারা হতে পারে।

মিনিমালিজম বলতে বোঝানো হয় শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে বাকিগুলো পরিত্যাগ করা, যাতে জীবনের চাপ ও জটিলতা কমে। শুধু জিনিস নয়, জীবনের সিদ্ধান্ত, সামাজিক যোগাযোগ এবং দৈনন্দিন কাজগুলোও সহজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মানসিক চাপ কমায় মিনিমালিজম

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, অগোছালো ঘর, অতিরিক্ত জিনিসপত্র এবং লাগাতার নতুন কিছু কেনার চাপ মানসিকভাবে ক্লান্তি তৈরি করে। মিনিমালিস্ট জীবনযাপন মানসিক স্বস্তি এনে দেয়, কারণ এতে চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জটিলতা কমে যায়।

আর্থিক সাশ্রয়ের দারুণ উপায়

মিনিমালিজম অর্থ সাশ্রয়েরও একটি কার্যকর কৌশল। কারণ, এ জীবনধারায় মানুষ অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করে এবং যা প্রয়োজন কেবল সেটাই ক্রয় করে। এতে মাসিক ব্যয় কমে যায় এবং সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়।

পরিবেশবান্ধব জীবনধারা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রয়োজনীয় জিনিস কম কিনলে উৎপাদন এবং বর্জ্য কমে, যা সরাসরি পরিবেশকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। তাই মিনিমালিজমকে অনেকেই ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি লাইফস্টাইল’ হিসেবে দেখছেন।

কীভাবে শুরু করবেন মিনিমালিজম?

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথমে ছোট ধাপে শুরু করা উচিত।

১ম ধাপ: বাড়ির অপ্রয়োজনীয় কাপড়, ডুপ্লিকেট জিনিসপত্র এবং পুরনো ব্যবহারহীন সামগ্রী আলাদা করে ফেলুন।

২য় ধাপ: যেগুলো ভালো অবস্থায় আছে সেগুলো দান করুন বা বিক্রি করুন।

৩য় ধাপ: ভবিষ্যতে কেনাকাটা করার সময় নিজেকে প্রশ্ন করুন এটি কি সত্যিই প্রয়োজন?

এভাবে ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা হালকা করে তুললে মনও হালকা হবে এবং সময়ও বাড়বে নিজের জন্য।

গবেষণা কী বলছে?

এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মিনিমালিস্ট জীবনযাপন করেন, তারা গড়ে প্রতিদিন ১–২ ঘণ্টা বেশি সময় পান ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজে লাগানোর জন্য। এছাড়া তাদের মানসিক চাপ প্রায় ২৫-৩০% কম থাকে এবং পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

এটিইউর নতুন প্রধান রেজাউল করিম

এটিইউর নতুন প্রধান রেজাউল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. রেজাউল করিম নতুন দায়িত্ব পেলেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে (এটিইউ)। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে... বিস্তারিত