ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

মাংসপেশি গঠনের জন্য যেসব খাবার সবচেয়ে কার্যকর

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ০৯:৪২:০০

মাংসপেশি গঠনের জন্য যেসব খাবার সবচেয়ে কার্যকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শক্ত ও টোনড মাংসপেশি শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভর করে না, সঠিক খাবারের নির্বাচনও এতে সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যায়ামের পর শরীর দ্রুত প্রোটিন ও পুষ্টি শোষণ করে, যা কোষের পুনর্গঠন ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি—সবই একসঙ্গে মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এ বিষয়ে মেডিকেল জার্নাল হেলথশট-এ প্রকাশিত এক লেখায় ডায়েটিশিয়ান ডা. আর্চনা বাত্রা কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন।

ডিমপেশি গঠনে সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকর খাবার হলো ডিম। একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৬.২৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে থাকা লিওসিন অ্যামিনো অ্যাসিড সরাসরি পেশি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।

মুরগির মাংসচর্বিহীন এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত মুরগির মাংস অতিরিক্ত ক্যালরি না বাড়িয়ে পেশি গঠনে সহায়ক। যারা ফ্যাট কমিয়ে মাংসপেশি বাড়াতে চান, তাদের জন্য এটি অন্যতম সেরা বিকল্প।

স্যামন ও টুনা মাছপ্রোটিনসমৃদ্ধ এই মাছগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এগুলো প্রদাহ কমিয়ে পেশিকে মজবুত করে। স্যামনে ভিটামিন ডি থাকে, আর টুনা প্রোটিনের পাশাপাশি শরীরকে শক্তি জোগায়।

চর্বিহীন গরুর মাংসগরুর মাংসে উচ্চমানের প্রোটিন ছাড়াও থাকে আয়রন, জিংক ও ভিটামিন বি১২। এগুলো শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ এবং পেশির বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

দুগ্ধজাত খাবারগ্রিক ইয়োগার্ট বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ এতে সাধারণ দইয়ের চেয়ে দ্বিগুণ প্রোটিন থাকে। দ্রুত হজমযোগ্য প্রোটিন ও ধীরে হজম হওয়া ক্যাসিন প্রোটিন শরীরচর্চার পর দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

সয়াবিনউদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে সয়াবিন অন্যতম। এতে প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো অ্যাসিড ছাড়াও ভিটামিন কে, আয়রন ও ফসফরাস রয়েছে।

ডাল ও ছোলাডাল উচ্চ প্রোটিন সরবরাহ করে, যা পেশি গঠন ও হজমে সহায়তা করে। ছোলা আবার কার্বোহাইড্রেটেরও ভালো উৎস, যা শক্তির ভান্ডার পূরণে সাহায্য করে।

চিনাবাদাম ও কাঠবাদামচিনাবাদামে প্রোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। কাঠবাদামে ভিটামিন ই, আঁশ ও চর্বি আছে, যা পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ব্রাউন রাইসআস্ত শস্য হিসেবে ব্রাউন রাইস জটিল কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ডাল বা অন্যান্য প্রোটিন উৎসের সঙ্গে মিলে এটি পূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল তৈরি করে।

বাদাম ও বীজআখরোট, কুমড়ার বীজ ও চিয়া বীজ পুষ্টির ভান্ডার। এগুলোতে প্রোটিন, ওমেগা-৩, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা প্রদাহ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত