ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২
ইসরায়েলকে ইউএই'র নতুন বার্তা, আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফিলিস্তিন ইস্যুতে এবার ইসরায়েলকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি স্পষ্ট জানিয়েছে, পশ্চিমতীর দখলের যেকোনো পদক্ষেপ ইসরায়েলকে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করাবে এবং আব্রাহাম চুক্তির মূল উদ্দেশ্য নষ্ট করবে।
উল্লেখযোগ্য যে, আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমেই ২০২০ সালে ইসরায়েল ও আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। আমিরাতের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য প্রকাশ করে।
আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসাইবেহ বলেন, পশ্চিমতীর দখল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আমিরাতের এ কূটনৈতিক অবস্থানকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। মূলত ইসরায়েলের চরম-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পশ্চিমতীরের বড় অংশ দখলের প্রস্তাব প্রকাশের পর আমিরাতের এমন প্রতিক্রিয়া এসেছে।
বিবিসি জানায়, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি বসতি স্থাপন করেছে, যেখানে প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসবাস করছে। একই এলাকায় বাস করছে আনুমানিক ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ।
২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে শর্ত ছিল ইসরায়েল পশ্চিমতীর দখলের পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ‘স্থগিত’ ঘোষণা করলেও বলেছিলেন, পরিকল্পনাটি এখনো ‘টেবিলে’ রয়েছে। বর্তমানে তার মন্ত্রিসভার অনেকেই পশ্চিমতীর দখলের পক্ষে।
এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইসরায়েলের দখল পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার শামিল।
লানা নুসাইবেহ বলেন, “আমরা আব্রাহাম চুক্তিকে সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থনে দেখেছি। পশ্চিমতীর দখল শুধু চুক্তির চেতনা ধ্বংস করবে না, আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়াও থামিয়ে দেবে।”
অন্যদিকে জেরুজালেমে সংবাদ সম্মেলনে স্মোট্রিচ বলেন, “এখন সময় এসেছে দখলের। দেশ ভাগ করে মাঝখানে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র গঠনের ধারণা বাদ দিতে হবে।”
তিনি যে মানচিত্র প্রকাশ করেন তাতে দেখা যায়, পশ্চিমতীরের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি ১৮ শতাংশ এলাকা সীমিত থাকবে জেনিন, নাবলুস, রামাল্লাহ, তুলকারেম, জেরিহো ও হেবরন শহরের আশপাশে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনাকে সরাসরি তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের জন্য হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!