ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
শুল্কযুদ্ধের জেরে ভারতের কূটনীতিতে নতুন মোড়
.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান শুল্ক আক্রমণের প্রভাব সামলাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এর অংশ হিসেবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন, জাপান ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) মোদি জাপানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং এরপর চীনে যাবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাত বছরে প্রথমবারের মতো তিনি চীনে যাচ্ছেন এবং আশা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো নতুন অংশীদারিত্বের জন্ম দেবে। এর ফলে মোদির প্রধান উদ্যোগ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আরও বেশি সমর্থন পাবে, বিশেষ করে জাপানের কাছ থেকে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, শুক্রবার ও শনিবার মোদির জাপান সফর গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দুই দেশই কোয়াড জোটের সদস্য, যার লক্ষ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের শুল্ক নিয়ে উত্তেজনা চলছে, তবুও দুই দেশের নেতারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবেন। জাপানি কোম্পানিগুলো আগামী দশ বছরে ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে সুজুকি মোটরস আগামী ৫-৬ বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে অংশীদারিত্ব এবং জাপানের উচ্চমূল্যের উৎপাদনে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন। ভারত যদিও বিরল খনিজের বিশাল মজুত রাখে, তবে সেগুলোর খনন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি তাদের কাছে নেই।
জাপান সফর শেষে মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে, যখন ভারত ও চীন ২০২০ সালের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে।
এই দুই প্রতিবেশী দেশ পাঁচ বছর পর সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে এবং হিমালয়ের তিনটি সীমান্তপথে বাণিজ্য সহজ করতে আলোচনা করছে। এছাড়া, ভারত চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা বিনিয়োগের নিয়ম শিথিল করার কথা ভাবছে এবং চীনও ভারতে সার, বিরল খনিজ এবং টানেল খনন যন্ত্রপাতি রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠকগুলো ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় চাপ দেওয়ার একটি হাতিয়ার দিতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করে যে, ভারত চীনের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে এবং বেইজিং-নেতৃত্বাধীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যোগ দিতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ