ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

ড. ইউনূসের সফরে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন: মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ আগস্ট ১৪ ২৩:১৯:৩৫
ড. ইউনূসের সফরে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন: মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফর দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত এবং উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ইতিবাচক অগ্রগতি এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল বলেন, ড. ইউনূসের এই রাষ্ট্রীয় সফর কেবল একটি কূটনৈতিক ঘটনা নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ নানা উদ্যোগের একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। তিনি জানান, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই অগ্রগতি দেখে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন এবং আশা করছেন যে এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্কের দিকে নিয়ে যাবে।

এই সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি 'নোট অব এক্সচেঞ্জ' স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব চুক্তি প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, হালাল পণ্য, গবেষণা, শিক্ষা, সেমিকন্ডাক্টর এবং ব্লু ইকোনমির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) কার্যকর করা হবে। এই ভিসার ফলে বৈধ শ্রমিকরা নিজ দেশে পরিবারের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ শেষে নতুন ভিসার আবেদন ছাড়াই মালয়েশিয়ায় ফিরে আসতে পারবেন। ইসমাইল এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের প্রতি মালয়েশিয়ার কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো বৈধ বিদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।

ইসমাইল আশা প্রকাশ করেন, ড. ইউনূসের এই সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান 'বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ' আরও শক্তিশালী করবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনায় ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য ও শিক্ষা খাতের পাশাপাশি নতুন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে মালয়েশিয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। ইসমাইল বলেন, মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বিশ্বাস করেন, দুই দেশের এই দৃঢ় সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদার হিসেবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত