ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

মঙ্গলবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৭:০৬:৪৮
মঙ্গলবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ৩০ বছর করাসহ আট দফা দাবিতে ডাকা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সরকারের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এর আগে গত ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ৮ দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য ১১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অন্যথায় ১২ আগস্ট থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য সারাদেশে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক পরিবহন বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা।

রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন পরিবহন নেতারা।

বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আট দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ কয়েকটি শাস্তিমূলক ধারা সংশোধন করা।

বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা।

পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএ-এর চলমান অভিযান স্থগিত রাখা।

বাজেটে আরোপিত দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করে আগের হার বহাল রাখা।

রিকন্ডিশন্ড বাণিজ্যিক যানবাহন আমদানির মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা।

দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের কাছে হস্তান্তরের বিধান কার্যকর করা।

মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য একটি সুষ্ঠু স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন করা।

মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন এবং অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্থাপিত দাবিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো সমাধানে একটি কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা তাদের পূর্বঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য জনদুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হলো।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত