ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

'যুক্তরাষ্ট্রের মোট কার্যকর শুল্ক ৩৬.৫ শতাংশ'

২০২৫ আগস্ট ০২ ২১:১২:৫৬

'যুক্তরাষ্ট্রের মোট কার্যকর শুল্ক ৩৬.৫ শতাংশ'

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পোশাকের ওপর অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনায় একে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও এর ফলে বিদ্যমান ১৬.৫ শতাংশ শুল্কের সাথে নতুন ২০ শতাংশ যুক্ত হয়ে মোট কার্যকর শুল্ক দাঁড়াবে গড়ে ৩৬.৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এই তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, এই শুল্ক হ্রাস স্বস্তিদায়ক হলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই, কারণ বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি কোনো রপ্তানিযোগ্য পোশাকে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল, বিশেষত আমেরিকান তুলা, ব্যবহার করা হয়, তবে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্যের উপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকের প্রায় ৭৫ শতাংশই তুলার তৈরি, তবে এর বড় একটি অংশ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহারের দিকে নজর দেওয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, "বিগত চার মাস ধরে অতিরিক্ত শুল্ক আমাদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ ছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্র একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করেছে, যা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।" তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী চীনের ওপর ৩০ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর থাকায় বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী কিছু দেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা এখনও চলমান। সেইসব চুক্তি চূড়ান্ত হলে ঐ দেশগুলো আরও কম শুল্ক সুবিধা পেতে পারে। একারণে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।

রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে এই নতুন পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে এবং মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহারের মাধ্যমে শুল্ক ছাড়ের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। এই শুল্ক ছাড় কার্যকর হলে তা বাংলাদেশের পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলার দাম কমাতে সহায়ক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩১ জুলাইয়ের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী এই নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত