ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশেই বন্ধ্যত্বের বিশ্বমানের চিকিৎসা, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই

আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির অগ্রযাত্রায় বিশ্বজুড়ে বন্ধ্যত্ব নিরাময়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখন দেশেই বন্ধ্যত্বের বিশ্বমানের চিকিৎসা সুলভ, যার সফলতার হারও উন্নত দেশগুলোর সমতুল্য। ফলে চিকিৎসার জন্য আর বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিশ্ব আইভিএফ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেশের বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞরা এমন আশার কথাই শোনালেন।
২০২৫ সালের বিশ্ব আইভিএফ দিবসকে কেন্দ্র করে লুমিনা আইভিএফ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছর এই দিবসটি পালিত হয় মূলত বন্ধ্যত্ব বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে।
এই দিবসকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাতেও র্যালি, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প, সচেতনতামূলক সেমিনার এবং চিকিৎসা পরামর্শসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
আলোচকরা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রজননক্ষম দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশই কোনো না কোনো ধরনের বন্ধ্যত্বের সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশেও এই হার ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, এর পেছনে সামাজিক কুসংস্কার, দেরিতে বিবাহ ও সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং পুরুষদের প্রজননগত সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রজনন, এন্ডোক্রিনোলজি এবং বন্ধ্যাত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফ্লোরিডা রহমান বলেন, "আমাদের সমাজে বন্ধ্যত্বকে এখনও লজ্জার বিষয় মনে করা হয়। অথচ এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা। সচেতনতা বাড়ানো গেলে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে অনেক দম্পতি মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের স্বাদ পেতে পারেন। তাই স্বল্প খরচে দেশেই উন্নত মানের চিকিৎসা সম্ভব।"
লুমিনা আইভিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুদ হোসেন বলেন, "বাংলাদেশেই এখন আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব হয়েছে। আমরা এ দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আমাদের সফলতার হারও যেকোনো উন্নত দেশের থেকে কম নয়। সুতরাং সংকোচ ভেঙে আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্যের সঙ্গে চিকিৎসা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।"
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ ও লুমিনা আইভিএফ-এর পরামর্শক ডা. উম্মে তাহমিনা সীমা, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মুজাহিদ হোসেন, অপারেশন ডিরেক্টর নাজমুল আজম পলাশ এবং হেড অব বিজনেস মুনিরুল সালেহীনসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভার পূর্বে, বিশ্ব আইভিএফ দিবস উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধানমন্ডি লেকে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, যেখানে রক্তচাপ ও বিএমআই পরিমাপের পাশাপাশি সাধারণ প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারের উত্থান কি টেকসই হবে? বিশ্লেষকরা যা বলছেন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বহুজাতিক তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ